Apan Desh | আপন দেশ

কমছে প্রবাসী আয়, ২২ দিনে এল সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১৩:১৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কমছে প্রবাসী আয়, ২২ দিনে এল সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা

ফাইল ছবি

দেশে ডলার সংকটের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার অন্যতম উৎস রেমিট্যান্সের গতি কমেছে। আগস্ট মাসের ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বরেও কম আসছে প্রবাসী আয়। রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা গেছে।

প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, প্রবাসীরা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ (এক ডলারে ১০৯ দশমিক ৫০ টাকা ধরে) ১১ হাজার ৫৫২ কোটি টাকার কিছু বেশি।

হিসাব বলছে, প্রতিদিন গড়ে চার কোটি ৭৯ লাখ ৫২ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৪৪ কোটি ডলার বা ১৫ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা; যা তার আগের মাস থেকে প্রায় ১৬ কোটি ডলার কম। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ হবে জুলাই মাসের চেয়ে অন্তত ৫০ কোটি ডলার কম। এ ধারা অব্যাহত থাকলে জুন মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কম হবে প্রায় ৭৫ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর মাসের ২২ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে নয় কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকে এসেছে দুই কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯২ কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

ওই সময়ে সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়ীত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।

আরও পড়ুন <> ‘টাকা ছেপে সরকারকে আর ঋণ দেবেন না’

ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি পাওয়ায় প্রবাসী শ্রমিকরা হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন।ফলে কমে যাচ্ছে রিজার্ভ।

সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তখন তিনি ব্যাংক ও খোলাবাজারের ডলারের দামের পার্থক্য কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, গত জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আগস্টে সেই আয় কমে হয়েছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। 

ডলার রেটসহ সমসাময়িক অর্থনীতির বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক করেন বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) নেতারা। বৈঠকে বিএবির পক্ষ থেকে ডলার রেট বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে তাতে সায় দেয়নি গভর্নর। বৈঠকে ব্যাংক উদ্যোক্তাদের জানানো হয় বর্তমানের মূল্যস্ফীতি চাপ নিয়ন্ত্রণ এখন ডলার দাম বাড়ানো সম্ভব নয়।

২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিলেন দুই হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়