Apan Desh | আপন দেশ

পেঁয়াজের দাম আড়তে কমছে, খুচরায় না, নজরদারীর ঘাটতি

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ১৭ মে ২০২৩

আপডেট: ১৩:১২, ১৭ মে ২০২৩

পেঁয়াজের দাম আড়তে কমছে, খুচরায় না, নজরদারীর ঘাটতি

ফাইল ছবি

পাইকারী বাজারে (আড়ত) পেয়াজের দাম করতে শুরু করেছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের অজুহাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ৩০ টাকার পণ্যটি বিক্রি করেছেন ৬৫ টাকায়। ফের আমদানী আইপি ইস্যু (আমদানি অনুমতি) করা হবে এমন তথ্যে ব্যবসায়ীরা আড়তে থাকা পণ্যটির দাম কমিয়ে দিয়েছেন। অতিরিক্ত লোকসানের ভয়ে এখন পাইকারিতে পণ্যটির কেজি ৫২ টাকায় নেমে এসেছে। তবে খুচরা বাজারে এর প্রভাব এখনো মিলেনি। 

এদিকে কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রধানের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছিল। এখন যেই শুনছে ভারত থেকে পণ্যটি আবারও আমদানি হবে, তখন লোকসানের ভয়ে আগেভাগেই পণ্যটির দাম কমাতে শুরু করেছেন তারা। ব্যবসায়ীরা এমন সুযোগ পায় প্রশাসনের নজরদারি না করার কারণে।

গত ১১ মে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছিলেন, দেশীয় পেঁয়াজের উৎপাদন পর্যাপ্ত হওয়ায় আমদানি কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন বাজার তদারকি করা হচ্ছে। যদি পেঁয়াজের দাম বাড়তেই থাকে, তাহলে আমদানি করা হবে। এই একটি বার্তাতেই পাইকারিতে কমতে শুরু করল পেঁয়াজের দাম।

দেশীয় পেঁয়াজ চাষিদের বাঁচাতে সরকার গত ১৫ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজের আইপি ইস্যু বন্ধ করে দেয়। কিন্তু কৃষকের কাছ থেকে কম দামে পেঁয়াজ কিনে বেশি দামে আড়তে বিক্রি করছিলেন অসাধুরা। ফলে দুই মাসের ব্যবধানে ৪০ টাকার পেঁয়াজ পাইকারিতে সর্বোচ্চ দাম ওঠে ৬৫ টাকা পর্যন্ত। খুচরা বাজারে সেটা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

সকালে দেশের বৃহত্তর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, খাতুনগঞ্জে পাবনা, ফরিদপুর, তাহেরপুর ও কুষ্টিয়া থেকে পেঁয়াজ আসছে। এ ছাড়া মিয়ানমার, পাকিস্তান, তুরস্কসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকেও পেঁয়াজ আসছে।

খাতুনগঞ্জে এখন দেশি তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), রবি মৌসুমের বারি-২, খরিফ মৌসুমের বারি-৩, স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। এসব পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪৬-৫২ টাকা। অথচ একই পেঁয়াজ এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৫৫-৬৫ টাকায়। মিয়ানমার থেকে আনা পেঁয়াজ এখন ৫০ টাকা, কদিন আগেও যা ছিল ৬০ টাকা। 
খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারের দাম কমলেও খুচরা বাজারে এখনো প্রভাব পড়েনি। খুচরায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা।

চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি দুই মাস ধরে বন্ধ। ফলে দেশীয় পেঁয়াজ দিয়ে চাহিদার পুরণ করতে হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ মোকামে প্রবেশ করলেই অটোমেটিক পণ্যটির দাম কমে আসবে। আশা করছি, কোররবানির আগেই পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।

আপন দেশ/ এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়