ছবি: সংগৃহীত
টানা পাঁচ মাস ধরে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত চলছে। প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের সিংহভাগই নারী ও শিশু। দখলদার গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে অনেক আগেই। বিদ্যুৎ, গ্যাস, চিকিৎসা, খাবার সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। দুবির্ষহ দিন কাটাচ্ছে মুসলিম বাসিন্দারা। এমতাবস্থায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। তবে তাতে অসম্মতি জানায় দখলদার ইসরায়েল।
ফের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি তুলে আলজেরিয়া। তবে সেখানে ভেটো দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ভেস্তে যায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব। এর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই উত্তর গাজায় খাবার সরবরাহ স্থগিত করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। নাগরিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ায় ত্রাণ সরবরাহে নিয়োজিতদের ‘চরম বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতার’ মুখে পড়তে হচ্ছে। এমন অভিযোগে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন>> গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
ডব্লিউএফপির বরাতে বিবিসি বলেছে, ত্রাণ সরবরাহ বন্ধের এ সিদ্ধান্ত হালকাভাবে নেয়া হয়নি। উত্তর গাজায় তাদের কর্মীরা মানুষের ভিড়, বন্দুক থেকে গুলিবর্ষণ ও ত্রাণসামগ্রী লুট হওয়ার মতো পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন।
সংস্থাটি বলছে, গত দুই দিন গাজা উপত্যকায় তাদের কর্মীরা মানুষের মধ্যে ‘নজিরবিহীন মরিয়াভাব’ লক্ষ্য করেছেন। ক্ষুধার কারণে ইতোমধ্যে সেখানকার লোকজন মারা যাচ্ছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। গত ডিসেম্বর থেকে এমন সতর্কতা উচ্চারণ করে আসছে জাতিসংঘ।
গত বছর গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। এজন্য ১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে উত্তরের ওয়াদি গাজা থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ইসরায়েলের ওই নির্দেশের পর অধিকাংশ বাসিন্দা অন্যত্র সরে যান। তবে কয়েক লাখ মানুষ সেখানেই থেকে যান। কিংবা আইডিএফের অবরোধের মুখে এলাকা ছাড়তে পারেননি।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।