Apan Desh | আপন দেশ

‘যুক্তরাষ্ট্র সুপার পাওয়ার তাদের অগ্রাহ্য করতে পারি না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:১৭, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২০:২৬, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

‘যুক্তরাষ্ট্র সুপার পাওয়ার তাদের অগ্রাহ্য করতে পারি না’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কাছে বেশি কিছু চায়নি, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুপার পাওয়ার। আমরা তাদের প্রত্যাখ্যান করতে পারি না; আমরা করিও না। আমাদের কোনো উদ্দেশ্যও নেই।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশ (যুক্তরাষ্ট্র), তাদের তো আমরা কখনো অগ্রাহ্য করতে পারি না। আমরা তো এজন্য তাদের পরামর্শকে অত্যন্ত গুরত্বসহকারে গ্রহণ করি। তবে আমাদের দেশের একটা বাস্তবতা আছে। বাস্তবতার নিরিখে তারা যদি কোনো প্রস্তাব দেয়… আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখি।

তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র কিছু চায় না। আমরাও তাই চাই। তারা আমাদের সাহায্য করছে। আমরা নিজেরা একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চাই। আমরা যদি এটা করি, আমেরিকা আমাদের সঙ্গে থাকবে। তারা আমাদের বন্ধু দেশ। শুধু নির্বাচন নয়, তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন রকম সম্পর্ক আছে। আমেরিকা সবসময় বাস্তববাদী।

তিনি আরও বলেন, বরং আমরা তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) বলব, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, তাদের ভিসা পলিসির মধ্যে ঢুকাক। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নষ্ট করতে চাই না। আমেরিকা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আমরা তাদের সঙ্গে আছি, তারা আমাদের সঙ্গে আছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের একাত্তরে সমর্থন দেয়নি। তারা পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন করেছে। কিন্তু আমরা ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পাওয়ার পর আমেরিকা প্রতিনিয়ত আমাদের সমর্থন দিয়ে গেছে। কোনো দিন আমাদের বিরুদ্ধে যায়নি। এটা কী মিন করে? তারা আমাদের সঙ্গে আছে।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের তৎপরতা কম দেখা যাচ্ছে। সরকার বিদেশিদের চুপ থাকতে বাধ্য করল কি না– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সেই ক্ষমতা নেই। আমাদের বন্ধু দেশ যারা তারা অনেক সময় আমাদের উপদেশ দেয়, যেটা ভালো সেটা গ্রহণ করি। অন্যের যদি ভালো উপদেশ থাকে সহায়ক নির্বাচনের জন্য, আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরে বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা। সম্প্রতি তারা বলছে, সংঘাতমুক্ত, আমরাও চাই। কিন্তু সেটা আমরা একা পারব না।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের যদি সম্পৃক্ততা থাকে, জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে সেটা অংশগ্রহণমূলক। আমাদের প্রায় নির্বাচনে শতকরা ৫০ ভাগ লোক ভোট দেয়। আমেরিকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সবসময় নির্বাচন হয়। সিনেটর কেনেডি, সিনেটর জন কেরি তাদের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না। সম্মানিত লোকের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ায় না।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেয়ার পরও যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, বিদেশিরা গ্রহণ করবে কি না– জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই গ্রহণ করবে। যদি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হয়। একটি বড় দল যদি না আসে…। মিসরে বড় দল ছিল ব্রাদারহুড, তারা নির্বাচনে আসেনি; আফগানিস্তানে তালেবান আসেনি। যুক্তরাষ্ট্র এটা গ্রহণ করেছে। কোনো একটি বিশেষ দল যদি না আসে, এটা খুব গুরত্বপূর্ণ নয়।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ:

কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে মিরপুরে পুলিশ-অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ভ্যাট বসলে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে: ওবায়দুল কাদের বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন কেএনএ সদস্য নিহত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের উদ্যোক্তা হতে বললেন গুরুত্বপূর্ণ সফরে ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং রাজধানীর আগারগাঁও ও মিরপুর ১০ নম্বরে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, মেট্রো স্টেশনের প্রবেশপথে তালা পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী ঢাকাসহ ১০ অঞ্চলের উপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা জো বাইডেনের ‘ড্রাগ টেস্ট’ করতে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি হারাল ডিসি ইউনাইটেডকে