Apan Desh | আপন দেশ

বিএসএফ প্রধান নীতিন আগারওয়াল

‘সীমান্তে দায়ের কোপে ৬০ বিএসএফ আহত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৩৪, ৯ মার্চ ২০২৪

‘সীমান্তে দায়ের কোপে ৬০ বিএসএফ আহত’

ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তে অপরাধীদের দায়ের কোপে ৬০ বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন। এটা গভীর উদ্বেগের বিষয়। বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি ও ভারতীয় অপরাধীর মৃত্যু হয়। কেবলমাত্র আত্মরক্ষায় আমাদের সদস্যরা গুলি চালায়। সীমান্তে মৃত্যু রোধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বলেছেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) প্রধান নীতিন আগারওয়াল।

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর পিলখানায় বিজিবির সদর দপ্তরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের পাঁচ দিনব্যাপী ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষ দিন আজ। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল, বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে নয় সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেন।

নীতিন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আপনি জানেন, ৬০ বিএসএফ সদস্য সীমান্ত অপরাধীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা অস্ত্র হিসেবে দা ব্যবহার করে। বিএসএফ সদস্যদের শরীরের স্পর্শকাতর অংশে দায়ের গুরুতর আঘাত রয়েছে, যেটা গভীর উদ্বেগের বিষয়। কেবলমাত্র এ রকম পরিস্থিতিতে বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালায়, যাতে বাংলাদেশি ও ভারতীয় অপরাধীর মৃত্যু হয়।’

গত কয়েক বছর ধরে সীমান্ত হত্যা আবারও বাড়ছে। আমরা অনেক সময় দেখি, নিহত বাংলাদেশির মুখ-মণ্ডল, বুকে ও শরীরের উপরে আঘাতের চিহ্ন। আপনি বলেছেন অস্ত্রনীতি পরিবর্তন করা হয়েছে, কেবলমাত্র আত্মরক্ষায় গুলি চালায় বিএসএফ—কিন্তু মাঠ পর্যায়ে আমরা এর বিপরীত চিত্র দেখি। প্রকৃত ঘটনা জানতে কেন বডি ওর্ন ক্যামেরা চালু করা হচ্ছে না? কেন যৌথ তদন্ত করা হয় না? 

এমন প্রশ্নে বিএসএফ প্রধান বলেন, ‘আপনি বললেন মুখ-মণ্ডল, বুকে ও শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত থাকে, এটাই কম দূরত্বে এসে হামলা প্রমাণ করে। দা নিয়ে হামলা চালাতে হলে খুব কাছে চলে আসতে হয়; যখন একজন মানুষ মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকে, কেউ দা নিয়ে হামলা করছে, গুলি চালানোর তখন তিনি হাত-পা, শরীরের অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনোযোগ দিতে পারে না।’

আরও পড়ুন>> সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত

তিনি বলেন, ‘এটা হয় যখন কেউ গুরুতর মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকে। দ্বিতীয়ত, সীমান্তরক্ষীকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হয়। দূরত্ব বেশি হলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে না। কিন্তু দূরত্ব কম হলে নিশ্চিতভাবেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে। এমনকি কম দূরত্বে রাবার বুলেটও মৃত্যুর কারণ হতে পারে। দয়া করে এটা বোঝার চেষ্টা করুন। দায়ের কোপে গত এক বছরে ৬০ বিএসএফ সদস্য আহত হয়েছেন।’

নীতিন আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন যখন সীমান্তে মৃত্যু হয়, আপনারা জানেন না সীমান্তে কতজন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আপনারা জানেন না কতগুলো ঘটনায় আমরা হত্যা না করে গ্রেফতার করেছি।’

কেবল হত্যা নয়, পুরো চিত্র দেখার আহ্বান জানিয়ে বিএসএফ প্রধান বলেন, ‘তাহলেই উপলব্ধি করা যাবে, সীমান্তে মৃত্যু রোধে আমরা আমরাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি; বাংলাদেশি ও ভারতীয় নাগরিক উভয়ের ক্ষেত্রে। আমরা যৌথভাবে সীমান্ত পাহারা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আন্তঃসীমান্ত অপরাধ বন্ধে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসবের মাধ্যমে আশা করছি সীমান্ত হত্যা কমে আসবে।’

একজন গণমাধ্যমকর্মী এ সম্মেলনের ফলাফল কী জানতে চাইলে বিজিবি প্রধান বলেন, ‘আমরা দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক বিষয়গুলোতে যৌথভাবে কাজ করব। এর মধ্যে থাকবে চোরাচালান প্রতিরোধ, সীমান্ত অপরাধ ও সীমান্ত হত্যা পুরোপুরি বন্ধ।’

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়