Apan Desh | আপন দেশ

জামায়াত-আওয়ামী লীগ সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন বিএনপির টুকু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:০১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

জামায়াত-আওয়ামী লীগ সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন বিএনপির টুকু

ছবি: সংগৃহীত

জামায়াত ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামী লীগের মধ্যে পরকীয়া চলছে।  

সোমবার বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের হাজারীবাগ, নিউমার্কেট ও ধানমন্ডি থানা বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

টুকু বলেন, আওয়ামী লীগের অনেকের মুখে একটা বুলি হয়ে গেছে বিএনপি-জামায়াত, বিএনপি-জামায়াত। আমি বলছি, এখন সময় এসেছে, আওয়ামী লীগ-জামায়াত, আওয়ামী লীগ-জামায়াত বলার। জামায়াতও উর্দু, আওয়ামী লীগও উর্দু। দুটো একসঙ্গে মিলবে ভালো। কেননা ওনারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেন। কিন্তু বেআইনি ঘোষণা করেন না। তাহলে কি আমি বলবো, ওনাদের (জামায়াত-আওয়ামী লীগের) পরকীয়া চলছে?

তিনি বলেন, ‘আমাদের বলা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত, আর আপনারা আমাদের বলেন, যুদ্ধবিরোধী দল। আমিও স্বীকার করলাম। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল করলেন, বেআইনি ঘোষণা করলেন না। তার অর্থ আওয়ামী লীগ জামায়াতের সঙ্গে তলে তলে বন্ধুত্ব করে। সেজন্য বাতিল করে না। তাই আজ থেকে আওয়ামী-জামায়াত হবে, বিএনপি-জামায়াত আর হবে না’।

জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি, দলের চার নেতা হত্যার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরীর ১৬টি স্পটে ধারাবাহিক সমাবেশের অংশ হিসেবে  সোমবার ধানমন্ডির জিগাতলায় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল বিএপি। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না মেলায় হাজারীবাগে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় দলটি। সমাবেশ শুরুর আগে  স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিকালে সমাবেশ শুরু হয়।  

সমাবেশে টুকু বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন উন্নয়ন, উন্নয়ন বলতে বলতে মুখ দিয়ে ফেনা তুলে ফেলেন। আমি উন্নয়ন সম্পর্কে কিছু বলবো না, আমরাও উন্নয়ন চাই। আমরাও উন্নয়ন করেছি। এদেশে যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে জিয়াউর রহমানের আমলে। তিনি বীজ বপন করে গেছেন। তার ওপর আজ বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। তারা উন্নয়ন উন্নয়ন বলেন।

‘কিন্তু এই দেশের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ভদ্রলোক, তিনি নাকি তাবলিগ করেন। অন্যায় দেখতে দেখতে অসহ্য হয়ে গেছেন। তিনি কয়দিন আগে অফিসারদের মিটিংয়ে বললেন, আমাদের যে বহিঃসম্পদ বিভাগ আছে তারা চুরি করার জন্য বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে আসে। ঋণ নিয়ে এসে চুক্তি করে প্ল্যানিং কমিশনে পাঠায়, তারা সেটা পাস করে দেয়। পরে সেই ঋণ আমাদের গলার ফাঁদ হয়ে যায়। এটা আমার কথা নয়, বাংলাদেশের কেবিনেট সচিবের কথা, যিনি এখনো চাকরিতে বহাল আছেন। আমরা গীবত করতে চাই না, তোমার কেবিনেট সেক্রেটারি বলে তোমার উন্নয়ন মানে বাংলাদেশের মানুষের গলার ফাঁদ।’

দেশটাকে আজ কোথায় নিয়ে গেছেন এমন প্রশ্ন রেখে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজ ওসির অনুমতি নিয়ে আমরা মিটিং করছি। কাল (রোববার) রাত থেকে এখানে না ওখানে, ওখানে না ওখানে। হায়রে আমার বাংলাদেশ। আমি মিটিং করবো, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আর আজ ওসির অনুমতি নিয়ে মিটিং করতে হবে, আর বলে দেশে নাকি গণতন্ত্র আছে। গণতন্ত্রই যদি থাকতো তাহলে আমাকে ওসির অনুমতি নিয়ে কেন মিটিং করতে হবে?

মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি নেতা রফিকুল আলম মজনু, রবিউল আলম রবি, ইউনূস মৃধা, যুবদল নেতা গোলাম মাওলা শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইয়াসিন আলী, ধানমন্ডি থানা বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
 

আপন দেশ ডটকম/কেএস

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়