ছবি : সংগৃহীত
টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। এরইমধ্যে ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় ছাড়াও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইজতেমা ময়দানে ১৬০ একর জমিতে শামিয়ানা টাঙানো প্রায় সম্পন্ন। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা আসতে শুরু করেছেন। মাঠে জেলাওয়ারি বিভক্ত খিত্তায় উঠেছেন তারা। মুসল্লিদের সুবিধার্থে পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, টয়লেট ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুসল্লিদের নিরাপত্তায় মাঠের ভেতরে ও বাইরে ছয় হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করবে। এ ছাড়া দুই শতাধিক সিসিটিভি, ১৪টি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পুরো মাঠ পর্যবেক্ষণ করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ময়দানে তাদের অবস্থান জোরদার করতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন <> বিশ্ব ইজতেমা ময়দান প্রস্তুতের কাজ চলছে
ইজতেমার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন। তবে তুরাগ নদীর অপর প্রান্তে একটি রাস্তায় স্থানীয় লোকজন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রেখেছে। আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। এটি সমাধান হলে লাখ লাখ মুসল্লির যাতায়াত সহজ হবে।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে প্রথম পর্বের ইজতেমা।
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে আলাদাভাবে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা পালন করবেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চার দিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি। সে হিসেবে এখন যারা মাঠে আসছেন, তারা সবাই মাওলানা জুবায়ের অনুসারী।
আপন দেশ/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।