Apan Desh | আপন দেশ

শেয়ার কেলেঙ্কারীতে দন্ডপ্রাপ্ত সেই এনআরবি ব্যাংক আসছে বাজারে! 

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:০৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৪:০১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শেয়ার কেলেঙ্কারীতে দন্ডপ্রাপ্ত সেই এনআরবি ব্যাংক আসছে বাজারে! 

ছবি: সংগৃহীত

কারসাজির অভিজ্ঞতা নিয়ে শেয়ারবাজারে আসছে এনআরবি ব্যাংক। কোনো বাধার মুখোমুখি হতে হয়নি। সাবস্ক্রিপশনও ইতোমধ্যেশেষ হয়েছে। বিভিন্ন কারসাজির সঙ্গে জড়িত এরকম একটি ব্যাংককে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমতি দেয়া কতখানি যুক্তিসংগত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনে জনে। অতীত অপকর্মের বিবেচনায় ব্যাংকটি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। প্রশ্ন উঠেছে পরিচালক বাইজুন এন চৌধুরীর অবস্থান নিয়েও। 

তাদের মতে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর ব্যাংকটি আগের কেলেঙ্কারি রূপে ফিরবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এর আরও একটি কারণ শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট। এ প্রতিষ্ঠানটির হাত ধরে এসেছিল এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ নামের কোম্পানি। নিয়মবর্হিভুত কর্মকান্ডের কারণে ওই সময়ে কোম্পানিটির সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

ইস্যু ম্যানেজার শাহজালাল ইক্যুটি ম্যানেজমেন্টের প্যানেল ব্রোকার হাউজ সোনালি সিকিউরিটিজ লিমিটেড। এ সিকিউরিটিজের পরিচালক বাইজুন এন চৌধুরী। তিনি আবার এনআরবি ব্যাংকের পরিচালকও। এনআরবি ব্যাংকের স্পর্শকাতর তথ্য বাইজুন এন চৌধুরীর মাধ্যমে ব্রোকার হাউজটি জানবে এটাই স্বাভাবিক। যাতে বিনিয়োগকারীরা গ্যাম্লিংসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।  

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার সংক্রান্ত অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে এনআরবিকে প্রায় ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ সংক্রান্ত চিঠি ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন<<>> ‘এইটুকুই বললাম, আর কিছু না - - -’

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৯ টাকা থেকেএকলাফে ২১৫ টাকায় দাঁড়ায়। অর্থাৎ আলোচিত সময়েশেয়ার দরসাড়ে সাত গুণ বেড়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অস্বাভাবিক এ দর বৃদ্ধিতে এনআরবি ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতা পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর তদন্ত শুরু হলে ব্যাংকটি বিমা কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করে। এতে দরপতন শুরু হয় কোম্পানিটির। এরফলে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ২৬(ক) ধারায় এনআরবি ব্যাংককে জরিমানা করা হয়। এ ধারার উপধারা (১)-এ একটি ব্যাংক অন্য ব্যাংক বা কোম্পানির কী পরিমাণ শেয়ার ধারণ করতে পারবে তা বলা আছে। তবে এনআরবি ব্যাংক তা লঙ্ঘন করে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিল।

এ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক কোম্পানি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করলে ওই ব্যাংককে অনূর্ধ্ব ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। ওই লঙ্ঘন অব্যাহত থাকলে প্রথম দিনের পর থেকে প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হবে।
কোম্পানি প্রসপেক্টাস সূত্রে জানা গেছে, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতেএনআরবি ব্যাংক ১০ টাকা অভিহিত মুল্যে ১০ কোটি শেয়ার ছেড়েছে। উত্তোলন করবে ১০০ কোটি টাকা।

একই সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের (২০২৩) ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ীপ্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর ২০২৩)ব্যাংকটির পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া প্রকৃত সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৭২ পয়সা।আর প্রতিটি শেয়ারে আয় বা ইপিএস ২৭ পয়সা। আইপিও অনুমোদনের জন্য আরোপিত শর্ত অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির আগে কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা, অনুমোদন ও বিতরণ করতে পারবে না ব্যাংকটি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শেয়ারবাজারে শেয়ার কারসাজিকারীদের সুবিধা দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ১০৩ কোটি টাকা লোকসান করে এনআরবি ব্যাংক। ব্যাংকটির এ অনৈতিক চর্চা একদিকে যেমন ব্যাংকটির আর্থিক অবস্থাকে দুর্বল করে তুলেছিল, তেমনি আমানতকারীদের অর্থও ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়। গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, আমাতনকারীদের অর্থের ওপর এ অবৈধ ব্যবসায়িক কার্যক্রমের একটা বিরূপ প্রভাব আছে। কারণ ব্যাংকটি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের নামে তাদের তহবিলের অপব্যবহার করেছে।

আরও পড়ুন <<>> ডেসকো এখন বড়কর্তাদের স্বজন পুনর্বাসন কেন্দ্র, জাল সনদেও সমস্যা নেই!

নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সময়ের মধ্যে প্রায় সব শেয়ারই আলোচনা ও চুক্তির ভিত্তিতে ক্রয়-বিক্রয় হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কারসাজিকারীদের মুনাফা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য এনআরবি ব্যাংক তুলনামূলক বেশি দামে শেয়ার কিনে তা গড় বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০ থেকে ২২ শতাংশ কমে কেনার সুযোগ থাকলেও ব্যাংকটি প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের শেয়ার উচ্চ দামে কিনেছিল।

এছাড়া আইন লঙ্ঘন করে ঋণদাতা এ প্রতিষ্ঠানটি পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্সে তার বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের প্রায় ৫৮ শতাংশ বিনিয়োগ করে। এনআরবি ব্যাংক ৪৫৪ কোটি টাকায় এ বীমা প্রতিষ্ঠানের ২৭ লাখ ৩৬ হাজার শেয়ার কেনে। যদিও নিয়ন্ত্রক সংস্থার শর্ত মানতে পরবর্তীতে তারা ১৯ লাখ শেয়ার লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। একইভাবে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারও কেনে ব্যাংকটি।
ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ অনুসারে, শেয়ার প্রিমিয়াম ও সিঙ্গেল স্টকে রিটেইন্ড আর্নিংসের ক্ষেত্রে একটি ব্যাংক তার মোট মূলধনের ৫ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করতে পারবে না।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি এনআরবি ব্যাংক প্রতিটি ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সা মূল্যে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের এক লাখ শেয়ার কিনতে শুরু করে। এই দাম ছিল সে-দিনের সর্বোচ্চ এবং আগের দিনের তুলনায় ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি। পরের দিন থেকে ওই শেয়ারের দাম কমতে শুরু করে এবং ১৭ জানুয়ারি প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ১২২ টাকা ৮০ পয়সায়। কিন্তু সে সময় এনআরবি ব্যাংক কোনো শেয়ার কেনেনি।

অন্যদিকে একই বছরের২০ জানুয়ারি যখন শেয়ারের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে তখন এনআরবি ব্যাংক প্রতিটি ১৪৮ টাকা ৭৯ পয়সা মূল্যে এক লাখ শেয়ার কেনে। ১৭ জানুয়ারিতে থাকা দামের তুলনায় যা ছিল ২৭ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি গড়ে ১২০ টাকা ৭৫ পয়সা মূল্যে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের ৫ লাখ ৮৮ হাজার শেয়ার কিনেছে।

নিরীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, বিনিয়োগ ব্যাংকিং ইউনিটের সব কার্যক্রম পর্যালোচনা করার পর এটা সহজেই উপলব্ধি করা যায় যে, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নীতি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার পলিসি না মেনেই শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
ওই সময় এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন মাহমুদ শাহ জানান, এঅপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসানসহ চার কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এ কেলেঙ্কারির জন্য মূলত হাসানকেই দায়ী করা হয়। অনিয়ম রোধে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেন ব্যর্থ হলেন- জানতে চাইলে মাহমুদ শাহ জানান, বেশিরভাগ অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে২০২০ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুনের প্রায় মাঝামাঝি পর্যন্ত।
জিবিবি পাওয়ার কোম্পানি, এসকে ট্রিমসের মতো আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এনআরবি ব্যাংক একই ধরনের ক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। একই সঙ্গে শেয়ারবাজারে তহবিল বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এ বেসরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম ভেঙ্গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি প্যাকেজের আওতায় এনআরবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারবাজারে বিশেষ তহবিলের (স্পেশাল পারপাস ফান্ড) সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। অথচ নিরীক্ষা দল দেখতে পায় যে, বিনিয়োগের এ সীমা ৬ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়, যা একটা দণ্ডযোগ্য অপরাধ।

এ ছাড়া নিজেদের নিয়মও ভেঙেছে এনআরবি ব্যাংক। ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ছিল, একটা নির্দিষ্ট শিল্পে সর্বাধিক বিনিয়োগ কোনোক্রমেই মোট তহবিলের ৩০ শতাংশের বেশি হবে না। কিন্তু ব্যাংকটি বীমা খাতে মোট তহবিলের ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও শেয়ারবাজারবিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ আপনদেশকে বলেন, খারাপ ব্যাপারটি হচ্ছে ব্যাংকটি আমাতনকারীদের অর্থ নষ্ট করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ব্যাংকটিকে জরিমানা করেছে। কিন্তু আমানতকারীদের অর্থের ক্ষতির জন্য দায়ীরা শাস্তির মুখোমুখি হননি। আইপিওতে আসার আগে কমিশনের খতিয়ে দেখা উচিত ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, এনআরবি ব্যাংকের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়েছে। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত এর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৮৭ কোটি টাকায়। ২০২০ সালের তুলনায় যা ৯৩ শতাংশ বেশি।
বিভিন্ন কারসাজির সঙ্গে জড়িত এরকম একটি ব্যাংককে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমতি দেয়া কতখানি যুক্তিসংগত হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনে জনে।
উল্লেখ্য, এনআরবি ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন জমা নেয়া শুরুহয় চলতি বছর (২০২৪) এর২৮ জানুয়ারি; যা শেষ হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি। ব্যাংকটিকে শেয়ারবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট ও শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।

তিন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ব্যাখ্যা 

শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের সিইও আলমগীর হোসেন আপন দেশকে জানান, এনআরবি ব্যাংকের ভিত ভালো। এটি বাজারে আসলে বিনিয়োগকারীরা উপকৃতহবেন। ব্যাংকটি ভালো না হলে বিএসইসি কখনোই আইপিওতে আসার অনুমোদন দিতো না।

এনআরবি ব্যাংকের কোম্পানি সচিব রেজাউল করিম জানান, শেয়ারবাজারে আসার যত নিয়ম রয়েছে তা আমরা পরিপালন করেই আসছি।
এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক ও সোনালি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পরিচালক একই ব্যক্তি হলেও আইনগত কোনো বাধা নেই বলে দাবি তার।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক আপন দেশকে বলেন, এরকম কলঙ্কজনক ব্যাংককে পুঁজিবাজারে আসার অনুমোদন দেয়া উচিত হয়নি। ব্যাংকটি আদৌ বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশিত লভ্যাংশ দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম আপন দেশকে বলেন, অতীতে শাহজালাল ইক্যুইটির হাত ধরে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিরেজ বাজারে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু অনিয়ম খুঁজে পাওয়ায় কোম্পানিটির সাবস্ক্রিপশন বাতিল করে কমিশন। এনআরবি ব্যাংক ও শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো আমরা খতিয়ে দেখবো। 

আপন দেশ/টি/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়