ফাইল ছবি
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস গ্রামীণফোনের শেয়ারদর কমেছে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৭২ পয়েন্ট। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। দ্বিতীয় কর্মদিবস কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। যার ফলে ডিএসইর সূচক আরও কমেছে ৭ পয়েন্ট। অর্থাৎ ফ্লোর প্রত্যাহরের পর গ্রামীণফোন ডিএসইর সূচক কমিয়েছে ২৪ পয়েন্ট।
এদিকে, গতকাল সোমবার থেকে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশের (বিএটিবিসি) শেয়ার ফ্লোর প্রাইসবিহীন লেনদেন শুরু হয়। ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের প্রথম কর্মদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। যার ফলে ডিএসইর সূচক কমেছে ২৪ পয়েন্ট।
এতে দেখা যায়, ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর গ্রামীণফোন ও বিএটিবিসি প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই’র প্রধান সূচক কমেছে ৪৮ পয়েন্টের বেশি।
গতকাল সূচকের পতনে বিএটিবিসি ও গ্রামীণফোনের পর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বেক্সিমকো ফার্মা, বীকন ফার্মা, রেনাটা, ফারইস্ট লাইফ ও ওরিয়ন ফার্মার শেয়ারের। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও কর্পোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ২১৪টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬৭টির।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনে কমেছে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে ৭৯০ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসে ছিল ৯৮০ কোটি টাকা।
খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ দখলে ছিল বস্ত্র খাতের। ১৩ দশমিক ১ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত।
গতকাল ডিএসইতে প্রযুক্তি, ভ্রমণ ও ব্যাংক খাতের শেয়ারে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল খাদ্য, জীবন বীমা ও বস্ত্র খাত।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
