ছবি : আপন দেশ
পৌষের মাঝামাঝি সময় এখন। শীত বেশ জেঁকে বসেছে। দিনের বেলায় গরম আবহাওয়া আর রাতে ঠাণ্ডা। ভোরে শীতল সিগ্ধ বাতাস; সঙ্গে হিম কুয়াশা। সাত-সকালে ঘাস-পাতার উপর জমে থাকা শিশির কণা জানিয়ে দেয় শীতের চলমান বার্তা।
শীতের দাপটের সঙ্গে সঙ্গে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী ধুনকারদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী ধুনকাররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। একই সঙ্গে গ্রামের বিভিন্ন পরিবারে পড়ে গেছে কাঁথা সেলাইয়ের ধুম।
লেপ-তোষক প্রস্তুতকারী বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, মালিক-শ্রমিক, ধুনকাররা এখন তুলাধোনায়, লেপ-তোষক তৈরির সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
শীত মৌসুমের শুরুতেই দোকানে পছন্দমতো লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিয়ে রেখেছেন ক্রেতারা। ধুনকার, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়, ভালো মুনাফা এবং বেশি বিক্রির আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। ক্রেতারাও লেপ-তোষক তৈরির জন্য ভিড় করছেন।
আরও পড়ুন <> নির্বাচনে কেন ভীতসন্ত্রস্ত চিত্রনায়িকা মাহি
কাঁঠালিয়া সদর বাজার, আমুয়া বন্দর, কৈখালী বাজার, কচুয়া বাজার, বটতলা বাজার, বিনাপানী বাজারগুলোয় জাজিম, বালিশ, লেপ, তোষক তৈরি ও বিক্রির কাজে শতাধিক ধুনকার ব্যবসায়ী নিয়োজিত রয়েছেন।
এবার তুলার দাম একটু বেশি। প্রতি কেজি ইসকম্বাট ৯০ টাকা, ফোম তুলা ১০০ টাকা, শিমুল তুলা ৪০০ টাকা ও সাদা তুলা ৯০ টাকা, কার্পাশ ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁঠালিয়া সদর বাজারের মেসার্স সুমি বেডিংয়ের মালিক আব্দুস সালাম হাওলাদার বলেন, কাপড়ের মান বুঝে লেপ-তোষকের দাম নির্ধারণ করা হয়। চার-পাঁচ হাত লেপের দাম পড়ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকা। আর এক পনেরো কেজি ওজনের তোষক তৈরি করতে পড়ে এক হাজার ৫০০ টাকা। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর লেপ-তোষক তৈরির তুলায় প্রতি কেজিতে ২০-২৫ টাকা দাম বেড়েছে। তবে কাপড়ের দাম আগের মতোই আছে।
লেপের কারিগর মো. কাইউম হাওলাদার বলেন, শীত শুরু হতে না হতেই তাদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে গেছে। এক দিনে ১০ থেকে ১২টি লেপ সেলাই করা যায়। লেপ প্রতি আমরা মুজুরী পাই ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
আপন দেশ/প্রতিনিধি/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।