Apan Desh | আপন দেশ

ব্যবসায়ীদের লোভের জিহ্বা টানতে চান মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪

ব্যবসায়ীদের লোভের জিহ্বা টানতে চান মন্ত্রী

ছবি : আপন দেশ

পণ্যের বাজার লাগামহীন। সরকারও জিম্মি হয়ে পড়েন লোভাতুর ব্যবসায়ীদের কাছে। প্রধানমন্ত্রীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা সীমিত লাভের কথা বলেছেন বিভিন্ন সময়। কিন্তু কে শুনে সে আকুতি। উল্টো দিনকেদিন বাড়ে দ্রব্যমূল্য। এ নিয়ে বেশ কড়া কলা বলেছেন- মৎস ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ৫ টাকার ফুলকপি ঢাকায় ৬০ টাকা। তাদের লোভের জিহ্বা টেনে ধরতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫জানুয়ারি) ‘বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প এবং পরিপ্রেক্ষিত যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ডিম, মুরগি ও মাংস বিক্রি করা হবে। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরের মতো এ বারও ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে। যাতে স্বল্প আয়ের মানুষ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কম দামে এসব পণ্য কিনতে পারে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন বাজারে পর্যাপ্ত মাছ, মুরগি, ডিম ও দুধের সরবরাহ থাকলেও দাম অনেকেরই ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নেই। সবকিছুর উৎপাদন বেড়েছে, সেই সঙ্গে কিছু ব্যবসায়ীর নৈতিক অধঃপতনও বেড়েছে। মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা বাজারে কারসাজি করে মুনাফা লুটে নিচ্ছে।

আরও পড়ুন <<>> রমজানে পণ্যের ঘাটতি নেই: অর্থমন্ত্রী

লোভী ব্যবসায়ীদের কড়া সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, উৎপাদনকারীদের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার অধিকার আছে। আবার ক্রেতাদেরও সঠিক দাম পাওয়ার অধিকার আছে। অথচ, ৫ টাকার ফুলকপি ঢাকায় এনে ৬০ টাকায় বিক্রি হয় এসব মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে। তাদের আকাঙ্ক্ষার জিহ্বা টেনে ধরতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত এত দূর আসার পেছনে সবার অংশগ্রহণ ছিল। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদনের উপকরণগুলো, যেমন: খাদ্য ও ওষুধের দাম কমানো গেলে উৎপাদন খরচ কমবে। তাহলে ভোক্তা কম দামে খেতে পারবে। রমজানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত-সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর দাম কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তার জন্য আমরা স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বসেছি। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি, দাম যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে।

মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল কাইয়ূম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদফতরের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি।

আলোচনা করেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী এবং নৌপুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদফতরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে সম্পৃক্ত নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ, নৌপুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার ভিডিপি-এর প্রতিনিধিগণসহ ইলিশ সংক্রান্ত বিভিন্ন অংশীজনরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়