Apan Desh | আপন দেশ

নয়া মানচিত্রে অরুণাচল-আকসাই চীনকে নিজেদের দেখালো বেইজিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩৮, ২৯ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ২১:৩২, ২৯ আগস্ট ২০২৩

নয়া মানচিত্রে অরুণাচল-আকসাই চীনকে নিজেদের দেখালো বেইজিং

চীনের নতুন মানচিত্র, ছবি: সংগৃহীত

চীনের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রথানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

ওই বৈঠকের রেশ না কাটতেই সোমবার (২৮ আগস্ট) চীন নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে। তাতে গোটা অরুণাচল প্রদেশকে চীনের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে আকসাই চীনকেও। ভারতের এই দুই অংশই শুধু নয়, তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরকেও নিজেদের অংশ বলে দাবি করেছে চীন।

চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এই খবর দিয়ে জানিয়েছে, চীনের সীমারেখা ও আন্তর্জাতিক নীতি মেনেই এই মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি–২০ গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ভারত যাবেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। তার আগেই এই মানচিত্র প্রকাশ করা হলো।

চীনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত বিরোধ গত ছয় দশকের। ২০২০ সালের জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর সম্পর্কের মোরাত্মক অবনতি হয়। ভারত সরকারিভাবে স্বীকার না করলেও বিরোধীদের অভিযোগ, সেই সময় লাদাখের অন্তত দুই হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা চীনা সেনা সদস্যরা দখল করে, যা বর্তমানেও অব্যাহত আছে। এমন প্রেক্ষাপটে ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর ২০২০ সালের সংঘর্ষ পূর্ববর্তী স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে বারবার দাবি জানালেও চীন এখনো তা আমলে নেয়নি।

সেই বরফ গলাতে দক্ষিণ আফ্রিকায় ‘ব্রিকস’ সম্মেলনের এক ফাঁকে নরেন্দ্র মোদি-সি চিন পিং ঘরোয়া বৈঠক করেন। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছিলেন, দুই নেতা লাদাখ সমস্যার সমাধানে সহমত হয়েছেন। ওই বৈঠকের পর পরই চীন এই মানচিত্র প্রকাশ করলো। যা দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে মোটেও সহায়ক নয় বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা।

অরুণাচল প্রদেশকে চীন দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে। ভারতের মতে, ওই প্রদেশ তাদের ছিল, আছে ও থাকবে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে আকসাই চীন তারা দখল করেছিল বলে দাবি জানিয়ে আসছে চীন। ভারত সেই দাবি মানতে নারাজ।

লক্ষ্যণীয়, চলতি বছরের মে মাসে অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগরে দুই দিন ধরে জি-২০ গোষ্ঠীর বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে চীন গরহাজির ছিল। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ওই বৈঠকের পর পরই চীন অরুণাচল প্রদেশের ১১টি জায়গার নাম তাদের ভাষায় রাখে। এমন নামকরণ তারা ২০১৭ ও ২০২১ সালেও করেছিল। ভারত তখনো আপত্তি জানিয়েছিল।

চলতি বছর চীনা ভাষায় এলাকার নামকরণ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছিলেন, নামকরণ যাই করা হোক, তাতে অরুণাচল প্রদেশের বাস্তবতায় হেরফের ঘটে না।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়