Apan Desh | আপন দেশ

অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ১২ জুন ২০২৩

আপডেট: ২২:১৫, ১২ জুন ২০২৩

অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস হবে: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কেউ ক্ষমতা আসলে উন্নয়ন এবং দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশবিরোধী, খুনি, মৌলবাদীচক্র, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

সোমবার (১২ জুন) দুপুরে গণভবনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও দলীয় প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সঙ্গে মতবিনিময় হয় সভায়।  

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা-১৭ আসনের থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে গণভবনে ডাকা হয়। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা যেন বাড়ে সেজন্য সবাইকে ভোটারদের কাছে যেতে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। অল্পদিনের ভোট হলেও নির্বাচনের আমেজ যেন থাকে- এমন নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 
সভায় ঢাকা-১৭ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ২২ জনের মধ্যে ১৮ জন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন <> জাতির পিতার ভাষণ অমূল্য দলিল: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাতকে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আরাফাতকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম, নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলে মিলে কাজ করবেন।

মানুষের মন জয় করেই ক্ষমতায় এসেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়, জনগণের জীবনমান উন্নত হয়- সেটি আমরা প্রমাণ করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে এগিয়ে যাচ্ছে, বিদেশে বাংলাদেশের সম্মান-মর্যাদা বেড়েছে অনেক।

তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যে পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়েছে, আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতা আছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা মানুষের মন জয় করেই ক্ষমতায় এসেছি। আর ক্ষমতায় এসে ধারাবাহিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি।
সরকার প্রতিটি জেলায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করেছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর পঁচাত্তর থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যে অন্যায়-অত্যাচার করা হয়েছে, আমরা তার প্রতিশোধ নিইনি। আমরা অন্যায়ের জবাব দিচ্ছি উন্নয়ন করে। আজ গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা একেবারে নেই বললেই চলে।

আরও পড়ুন <> বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যখাতে আরও গবেষণা প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকলে গত সাড়ে ১৪ বছরের উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্য বেশি করে প্রচার করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনার যৌক্তিকতা মানুষের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি মানুষের আস্থা, বিশ্বাসও অর্জন করতে হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত দলকে আরও শক্তিশালী, সুসংগঠিত করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি দলের দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা যেন অবহেলিত না হয়, সে বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে নেতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

তিনি বলেন, দুঃসময়ের নেতাকর্মীরাই দলের দুঃসময়ে এবং যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে। আমার একমাত্র শক্তি আমার সংগঠন। সাংগঠনিক শক্তি না থাকলে বড় কোনো অর্জন সম্ভব হয় না। তাই দলকে সুসংগঠিত করতে হবে তৃণমূল পর্যায়ে থেকে।

বাংলাদেশকে নিয়ে নানা চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই চায় না আমাদের দেশটি এগিয়ে যাক। আন্তর্জাতিক চক্রান্তের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যাদের উসকানিতে বিএনপি আজ লাফাচ্ছে তারা কিন্তু তাদের ক্ষমতায় বসাবে না। তারা শুধু তাদেরকে ব্যবহার করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সে চেষ্টা কখনোই সফল হয়নি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ মানুষের মন জয় করে শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

দলকে আরও শক্তিশালী করা দরকার মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাবা-মা-ভাই সবাইকে হারানোর পর আওয়ামী লীগই আমার পরিবার। বাংলাদেশের জনগণ আমার সমস্ত শক্তি। তারাই আমার একমাত্র ভরসা। তাদের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। করোনা মহামারীর মধ্যে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যারা সবচেয়ে বেশি মানুষের পাশে থেকে অবদান রেখেছে।

বিএনপির নির্বাচন মানে ‘দশটা হোন্ডা, ২০টা গুণ্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করেনি। ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাহউল হক সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

আপন দেশ/আরএব/ এবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

শীর্ষ সংবাদ:

ভ্যাট বসলে মেট্রোরেলের সুনাম নষ্ট হবে: ওবায়দুল কাদের বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন কেএনএ সদস্য নিহত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদের উদ্যোক্তা হতে বললেন গুরুত্বপূর্ণ সফরে ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং রাজধানীর আগারগাঁও ও মিরপুর ১০ নম্বরে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, মেট্রো স্টেশনের প্রবেশপথে তালা পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী ঢাকাসহ ১০ অঞ্চলের উপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা জো বাইডেনের ‘ড্রাগ টেস্ট’ করতে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি হারাল ডিসি ইউনাইটেডকে