নৌকা সমর্থকদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত

নোয়াখালী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পথসভার গাড়ি বহরে হামলা করেছিল নৌকা সমর্থকরা। এ চিত্র ধারণ করায় হামলাকারীরা ইটিভি ও মোহসা টিভির সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। তাদের মারধোর করেছে। 

আহত ইমরান হোসেন একুশে টিভি নোয়াখালী প্রতিনিধি। আরেফিন শাকিল ও মোহনা টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি মাসুদুর রহমান শিপন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নোয়াখালী জেলা সদরের ঘটনা এটি। 

প্রত্যক্ষদর্শীও ভুক্তভোগী গণমাধ্যম কর্মিরা জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিন শাহিন কাশেম বাজার থেকে দানা মিয়ার বাজারে গাড়ি বহর নিয়ে পথসভা করতে আসেন। এ সময় বাজারের প্রবেশ পথে নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা রাস্তা বন্ধ করে নৌকার স্লোগান দিতে থাকে। এতে স্থানীয় লোকজন নৌকার সমর্থকদের ওপর ক্ষেপে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারণ করায় ক্যামেরাপার্সন ইমরান হোসেনের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত আহত করে। তার কাছ থেকে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তারা নৌকার সমর্থক। 
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় গণমাধ্যম কর্মিরা আহত ক্যামেরাপার্সনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, বিকাল থেকে তিনি নেয়াজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করেন। গণসংযোগ ও পথসভা চলাকালীন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাহাদুরের নির্দেশে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। রাত সোয়া ৯টায় দানা মিয়ার বাজারে পথসভা করার জন্য বাজারে প্রবেশকালে নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর কর্মি নাজিম উদ্দিন, আজম পাশার নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি দল রাস্তা বন্ধ করে নৌকার স্লোগান দিতে থাকে এবং আমাদের গাড়ি বহর বাজারে প্রবেশে বাধা দেয়। এ সময় সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ করায় তাদের ওপর হামলা করে একরামের লোকজন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। ডিসি-এসপি আছে, সেখানে অভিযোগ করেন।  

সুধারাম থানার ওসি  মীর জাহেদুল হক রনিকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। এ কারণে অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

আপন দেশ/এবি