Apan Desh | আপন দেশ

বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত, পানিবন্দী ৩ শতাধিক পরিবার

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ৪ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ২১:৩০, ৪ আগস্ট ২০২৩

বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত, পানিবন্দী ৩ শতাধিক পরিবার

ছবি : আপন দেশ

বাগেরহাট: বাগেরহাট সদর উপজেলার ভৈরব নদীর তীরে থাকা গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (০৪ আগস্ট) দুপুরের জোয়ারে পানির চাপে ভদ্রপাড়া নামক স্থান থেকে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে যায়।

মুহুর্তের মধ্যে ভৈরবের পানিতে প্লাবিত হয় ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা গ্রামের অধিকাংশ স্থান। অতিরিক্ত পানিতে ২০ থেকে ২৫টি ঘের ও বেশকিছু পুকুর তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। তিন গ্রামে তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্ধি রয়েছে। অনেকের বাড়িঘর ও রান্না ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রামরক্ষা বাঁধ সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ভদ্রপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ চিংড়ি ঘের মালিক মশিউর রহমান বাদশা বলেন, দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢোকে। পানিতে তিনটি মাছের ঘের ডুবে আমার ১০ লক্ষ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ভোলায় জোয়ারে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, বিপাকে এলাকাবাসি

আলমগীর হোসেন বলেন, জোয়ার ও বৃষ্টিতে বাড়ির আঙ্গিনায় হাটু পানি জমে রয়েছে। রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে। পানিতে পুকুর, বাতরুম, রান্নাঘর, উঠান, বাগান সব একাকার হয়ে গেছে।

একই এলাকার বৃদ্ধা হায়াতুন্নেছা বেগম বলেন, নদীর পানি ঠেকানোর জন্য কোন বেড়ীবাঁধ নেই। এলাকাবাসী মিলে ছোট বাঁধ দিয়ে কোনমতে বসবাস করছি। জোয়ারের পানিতে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। সব জায়গাতে পানি, আমাদের দূর্ভোগ কোনভাবেই কমছে না। বাঁধ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে এরকম মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি। দূর্ভোগ লাঘবের জন্য ভদ্রপাড়া এলাকায় একটি বেড়ীবাঁধ দেয়ার দাবি জানান এই নারী।

এদিকে ভদ্রপাড়া, বৈটপুর ও বেমরতা ছাড়াও সদর উপজেলার হাড়িখালি, মাঝিডাঙ্গা, মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী, বহরবুনিয়া, সানকিভাঙ্গা, খাওলিয়া, গাবতলা, মোংলার জয়মনির ঘোলসহ বেশকিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্ধি রয়েছেন।

আরও পড়ুন: তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র

পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, দড়াটানা ও ভৈরব নদীর পানি বিপদ সীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর যেসব এলাকায় বেড়ীবাঁধ নেই, সেসব এলাকার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পেয়েছি। পানি কমে গেলে প্লাবিত হওয়া এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে রিং-বেড়ীবাঁধ নির্মানের আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।

আপন দেশ/প্রতিনিধি/জেডআই
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়