Apan Desh | আপন দেশ

‘বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার নৈতিক অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

‘বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার নৈতিক অধিকার নেই যুক্তরাষ্ট্রের’

ছবি : সংগৃহীত

নিটওয়্যার পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেছেন, বাংলাদেশের ওপরে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার নৈতিক অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই। তবে রাজনৈতিকভাবে দেশের ওপরে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হলে সেটা কূটনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে, সমাধান করতে হবে।  বুধবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আইএলও কনভেশনে ট্রেড ইউনিয়নের কথা বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেই ১৯৭৪ সালে এটাতে সই করেছেন। আমেরিকা, চায়না, ভারত এবং আমাদের তৈরি পোশাকের প্রতিযোগী ভিয়েতনাম এখনো আইএলও কনভেশনে সই করেনি। শ্রমিকদের অধিকার প্রশ্নে কোর বা ফান্ডামেন্টাল কনভেনশনালে আটটার মধ্যে মাত্র দুটোতে সই করেছে আমেরিকা। যেখানে বাংলাদেশ সবগুলোতেই সই করেছে।

‘আমেরিকা কোন অধিকারে, কোন নৈতিক অধিকারের বলে শ্রম অধিকার ইস্যুতে কথা বলে। কোনো অবস্থাতেই এই প্রশ্নে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা ডিউটি বাড়ানোর অধিকার নেই। তবে রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো পদক্ষেপ যদি আমেরিকা নেই, তাহলে সেটা কূটনৈতিকভাবেই বাংলাদেশ সরকারকে মোকাবেলা করতে হবে। আমরা মালিকরা সরকারের পাশে থাকবো।’

পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্নে বলেন, আমরা শ্রম আইন মানছি না এটা সত্য না। আমরা কোনো শ্রম আইন লঙ্ঘন করিনি। এটা যাতে লঙ্ঘন না হয় সে নিয়ে কাজ করছি। শ্রম ইস্যুতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো কারণ নেই, সেটা হবে না। পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে আমেরিকার কংগ্রেস সদস্যরা পোশাকের মূল্য বাড়ানোর কথা বলেছেন। আমরা ৫৬ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি করেছি। এখন ক্রেতাদের উচিত মূল্য বাড়ানো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ও বিশ্লেষক ড. সুবোধ দেবনাথ বলেন, আমাদের এখন ব্র্যান্ডিং করতে হবে। ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নতুন নতুন বাজার ধরতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের দূতাবাসগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। দূতাবাসগুলোকে বিজনেস ডিপ্লোম্যাসির কাজ করতে হবে। পোশাকে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এসব করতে পারলেই আমাদের নতুন বাজারের রপ্তানি আসবে আরও বেশি।

ঢাবি অধ্যাপক ও বিশ্লেষক ড. মো. আবু ইউসুফ বলেন, আমাদের বিশ্বের ১০টি শীর্ষ কারখানার মধ্যে ৯টিই বাংলাদেশে। সবুজ কারখানার ২০৬টি এখন আমাদের দেশে। তাহলে ক্রেতার কাছে সেটাকে সেভাবেই উপস্থাপন করতে হবে। দক্ষ শ্রমিক গড়ে তুলতে হবে। আমাদের পোশাক খাতের মিড লেবেল কর্মকর্তারা বাইরে থেকে আসেন। আমাদের ইউন্সটিটিউটকেও দক্ষ করতে হবে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

শীর্ষ সংবাদ:

বন্দুকধারীর গুলিতে আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো বাংলাদেশ প্রসঙ্গে অবস্থান পরিবর্তন করেনি পশ্চিমা বিশ্ব: ফখরুল অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী করোনায় আক্রান্ত সার আত্মসাৎ মামলায় সাবেক এমপি পোটনসহ পাঁচজন কারাগারে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়: হাইকোর্টের রায় স্থগিত বিএনপি সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়: প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারে আরসার আস্তানায় র‌্যাবের অভিযান, গ্রেনেড ও রকেট শেলসহ গ্রেফতার ২ নোবেলজয়ী এলিস মুনরো মারা গেছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃষ্টির আভাস রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার শিল্পী সমিতির নির্বাচন বাতিল চেয়ে নিপুণ আক্তারের রিট ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ আগুন