Apan Desh | আপন দেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-খাগড়াছড়িতে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ 

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ২০ মার্চ ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-খাগড়াছড়িতে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন বাজারে আগাম ঘোষণা ছাড়াই গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়ায় ক্ষতির শঙ্কা করছেন তারা।

সোমবার (১৮ মার্চ) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে না। আর মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর থেকে খাগড়াছড়িতে মাংস বাজারে কোন ব্যবসায়ী না আসার পর বিষয়টি সবার নজরে আসে।

সরেজমিন বুধবার (২০ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দবাজার, মেড্ডা বাজার, ফারুকী বাজার, বর্ডার বাজার, কাউতলী বাজার ও বউ বাজারে গিয়ে দেখা যায় সব মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে। সেখানে কিনতে এসে কাঙ্ক্ষিত মাংস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

মাংস ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করলে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাদের দাবি, আগের ৭৫০ টাকা প্রতিকেজি মাংসের মূল্যে বহাল রাখার। এই দাবি পূরণ করা না হলে মাংস বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

মেড্ডা বাজারের মাংস বিক্রেতা অহিদ মিয়া বলেন, আমরা সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের দাবি বলে এসেছি। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যদি কেউ সরকারি দামে মাংস বিক্রি করতে পারে অবশ্যই করবে। আমরা সরকারি দামে মাংস বিক্রি করতে পারবো না। কারণ, আমাদের বেশি দামে গরু কিনে আনতে হয়। গরু কিনে দোকান খরচ, কর্মচারী খরচ দিয়ে এ দামে আমরা বিক্রি করতে পারবো না। খামারিদের কাছ থেকে আমরা গরু দাম দিয়ে কিনে এনে ব্যবসার ক্ষতি করে ব্যবসা করতে পারব না।

একই কথা জানান ব্যবসায়ী জাকির মিয়া। তিনি বলেন, আমরা ৬৬৪ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রির দাবি জানিয়েছি। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে দাম নির্ধারণ করায় আমরা দোকান বন্ধ রেখেছি। যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ছাড়া আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবো না।

আরও পড়ুন <> তামিম সন্ধ্যায় লাইভে আসবেন

মেড্ডা বাজারে মাংস কিনতে আসা মাহবুব উল্লাহ বলেন, তিনদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাজারে মাংস বিক্রি বন্ধ রয়েছে। এতে আমরা জনগণ খুব বেশি ভোগান্তির মধ্যে পরেছি। রমজান মাস হওয়ায় বিভিন্ন ইসলামি উপলক্ষ থাকে। মাংসের প্রয়োজন হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমরা এখন নিরুপায় হয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে ঢাকার খলিলের কাছ থেকে ৫৫০টাকা দরে মাংস কিনে এনেছি। 

জেলার কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, মাংসের বাজারে অস্থিরতা ও চলমান সমস্যা নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের বৈঠক হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বৈঠকে জেলা প্রশাসক সরকার নির্ধারিত মূল্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। 
তিনি বলেন, আমরা কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে এইটুকুই বলতে পারি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেউ বেশি মূল্যে বিক্রি করলে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ীকে বাজারে সুবিধা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।

অন্যদিকে খাগড়াছড়িতে সরকারিভাবে বেঁধে দেয়া দামে মাংস বিক্রি করে না পোষানোর অজুহাতে ব্যবসায়ীরা কোনো গরু জবাই করেনি। তাই মাংস বিক্রি বিক্রিও বন্ধ। অনেকে মাংস কিনতে এসে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর খালি হাতে ফিরেছেন।

খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদুল আলম বলেন, ‘বিষয়টি ইতোমধ্যে আলোচনা চলছে। প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।’

রমজানে ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত শুক্রবার ডাল, ডিম, মাংস, পেঁয়াজসহ ২৯ পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় কৃষি বিপণন অধিদফতর। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই তা মানছেন না।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ