Apan Desh | আপন দেশ

‘ঈদে আগে-পরে টানা তের দিন ফিলিং স্টেশন খোলা থাকবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:২৩, ৯ এপ্রিল ২০২৩

আপডেট: ১৬:৩২, ৯ এপ্রিল ২০২৩

‘ঈদে আগে-পরে টানা তের দিন ফিলিং স্টেশন খোলা থাকবে’

ছবি : আপন দেশ

ঈদের আগে পাঁচদিন ও পরে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা ফিলিং স্টেশন খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বনানীর বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়ক/মহাসড়কে যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে করতে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা জানান।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদে ভোগান্তি কমাতে ঢাকার প্রবেশ পথে বিশেষ নজরদারি রাখতে হাইওয়ে পুলিশ ও বিআরটিএকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

গাজীপুর বিআরটি প্রকল্পকে ভোগান্তির অন্যতম স্থান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিআরটি প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা বললেও শেষ হয় না। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এছাড়া বিদেশগামীরা অনেক সময় বিমানের ফ্লাইট মিস করছে।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, যার যার যে দায়িত্ব তিনি সেভাবে পালন করুন। এটা হলো আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় ঘাটতি আমাদের শৃঙ্খলার। সড়কে সেটা কার্যকর হয়নি। পরিবহনেও হয়নি। আরও অনেক জায়গায় ছয় লেন বা আট লেন করার পরিকল্পনা আছে। তবে ডিসিপ্লিন কীভাবে কার্যকর করতে পারা যাবে সেটাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ। ডিসিপ্লিন থাকলে যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে। এখন গতানুগতিক একটা মিটিং করে ও বক্তব্য দিয়ে যদি মনে হয় দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে... তাহলে শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, এখানে সবাই পরিকল্পনার কথা বললেন, কিন্তু গার্মেন্টস মালিকরা কি সেটা শুনবেন? সেই গ্যারান্টি কোথায়। প্রতিবারই নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু পালন করেন কয়জন? খুব সহজে এটা বাস্তবায়ন করা যাবে না এটাই বাস্তবতা।

নবীনগর ও চন্দ্রার যানজটের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেখানে রাত পার হয়ে ভোর হয়ে যায়। সড়কে আনফিট গাড়ি থাকে। চালক অতিরিক্ত গাড়ি চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। এভাবেই সময় নষ্ট হয়।

যানজটের ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, আমরা এই কষ্টটা দূর করতে পারছি না। এই কষ্টটা আমারও আছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতি মিনিটে ১৬ জন রাস্তায় মারা যায়। সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় ২৪ জনের মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আমাদের লোক মারা গেল কেউ তো সেটা নিয়ে কিছু বলে না শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছাড়া। শুধু এখনকার ব্যাপার সবার চোখে পড়ে। যেভাবে দোষ দেয়া হয় তাতে মনে হয় এদেশে সড়কে কিছুই হয়নি। এমনকি বজ্রপাতে প্রাণহানি হলেও সরকারকে দোষ দেয়া হয়।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান, সড়ক ও সেতু সচিব এ বি এম আমান উল্লাহ নুরী, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ ও যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ