Apan Desh | আপন দেশ

কাঁচা মরিচ কেজি ৬৫০ টাকা

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ৩০ জুন ২০২৩

আপডেট: ১৯:৫৮, ৩০ জুন ২০২৩

কাঁচা মরিচ কেজি ৬৫০ টাকা

ফাইল ছবি

ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানী করার সিদ্ধান্ত রয়েছে কাগুজেই। এদিকে দেশের বাজারে বিদ্যুৎ গতিতে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। ঈদের আগের দিন যে কাঁচা মরিচের কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ঈদের পরের দিন (আজ) সে মরিচ বাজার থেকে কিনতে হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। এ নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা গড়িয়েছে হাতাহাতিতে।

ক্রেতার অভিযোগ দেখার কেউ নেই তাই কৃত্তিমভাবে, মন খুশিতে দাম বাড়ানো হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কোনো পণ্যের দাম দ্বিগুরে বেশি বাড়ার ইতিহাস নেই।

আর বিক্রেতা বলছে,খরার কাচা মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। আবার এখন টানা বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচ ক্ষেতে পঁচে যাচ্ছে। বাজারে মরিচ নেই। আমাদের বেশি দরে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দরেই।   

রাজধানীর বাজারের মতোই জেলা-উপজেলা এমনকি গ্রামেও কাঁচা মরিচের দাম স্থানভেদে বেড়েছে। গত ২৫ জুন ( রোববার) রাতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ শাখার পরিচালক রেজাউল করিম জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় ১১ হাজার ৬০০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির জন্য ৩০টি অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া ৫৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন টমেটো আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরবরাহ কম থাকায় ঢাকার বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এটি একটি অপরিহার্য পণ্য। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দিয়েছি।

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সময় লাগছে। এরই মধ্য্যে কাঁচা মরিচের বেড়ে গেছে। 

আরও পড়ুন <> ভারত থেকে কাঁচা মরিচ টমেটো আনবে সরকার

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য চিত্র: 

শুক্রবার। সপ্তাহের বাজারটা সেরে নিচ্ছেন চাকরিজীবীরা। তাই দিনটাতে বাজারে পণ্যের চাহিদা কিছুটা বেশি থাকে। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার, মিরপুর, ফার্মগেট, পুরানঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘরে দেখা গেছে। ক্রেতাদের মুখে মুখে আলোচনা কাঁচা মরিচ। কেজি সাড়ে ৫শ’ টাকা তেকে ৬০০ টাকা। 

যাত্রাবাড়ী বাজারে ক্রেতা ইস্রাফিল আলম বলেন, দুদিন ধরে বৃষ্টি। এরমধ্যিই সপ্তাহের বাজার করতে এসেছি। বরাবরের মতো সকল পন্যের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় আজ বেশি। কিন্তু মাথা গরম হচ্ছে কাঁচা মরিচের দাম শুনেই। বাজার ঢুকতেই দরদাম করলাম তখন কাচা মরিচ সাড়ে ৪শ’ টাকা। ধারণা করছি ভেতর বাজারে কম পাবো। সেখানে শুনি কেজি সাড়ে ৫শ’ টাকা। একটু সামনে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই বলল কাচার কেজি ৬০০। কোন দেশে আছি ভাই। বাাজার মনিটরিং করার কেউ আছে বলে বিশ্বাস করতে হবে? 

কাঁচা মরিচের পাইকারি দাম জানতে পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে নেই তেমন বেচাকেনা। মাত্র ৬ থেকে ৭ জন বিক্রেতা কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৩০ থেকে ৫৫০ টাকায়। 

শ্যামবাজারের মরিচ বিক্রেতা আব্দুল জানান,কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। মূলত বর্ষার কারণে আমদানি কম। এখন পাইকারিতে প্রতি ৫ কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৭৫০ টাকায়।

খিলগাঁও রেলগেট বাজারে বিক্রেতার কাছে মরিচ আছে বস্তাভর্তি। কিন্তু প্রদর্শন করছেন কেজিখানেকের মতো। দামটা কেজি তো নয়ই। বলছেন ১০০ গ্রাম। দাম চাইলে ৭০ নিলে একদাম ৬৫ টাকা। কিছুক্ষণ পর তাতেও পাবেন না। মরিচ নাই।

রাজধানীর এলিফ্যাণ্ট রোডের কাঁচাবাজারে মরিচের দামদর নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই বাজারেও কাঁচা মরিচ ১০০ গ্রাম ৬০ টাকা।    

এদিকে কুষ্টিয়ার খোকসায় ঈদের দিন প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকা। ঈদের পরের দিন (শুক্রবার) খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা করে। 

ক্রেতা রোকেয়া খাতুন বলেন, ঈদের দিন ২০০ টাকা করে কাঁচামরিচ কিনেছিলাম। আজ তা ৬০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এত দামে মরিচ কিনে মেসের লোকদের কি বলব? 

খুচরা ব্যবসায়ী উৎপল সাহা জানান, ঈদের দিন ২০০ টাকা করে মরিচ বিক্রি করেছিলাম। আজ সকালে ৫২০ টাকা কেজি কিনেছি। এখন ৬০০-৬৫০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। যেমন কেনা, তেমন বিক্রি। 

কাঁচামালের আড়তদার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খরার কারণে মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। ঈদের জন্য মোকাম থেকে মরিচ আসেনি। ছেলেকে কাঁচামরিচ কিনতে ফরিদপুর পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে এক বস্তা কিনে এনেছি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস মোবাইল ফোনে বলেন, পত্রিকায় কাঁচামরিচের বিভিন্ন দাম দেখছি। খোঁজ নেয়া হবে। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়