ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট প্রান্ত পর্যন্ত অংশের উভয় দিকে যান চলাচল শুরু হয়। তবে গাড়ির চাপ দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়বে।
এর আগে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দর প্রান্তের কাওলা অংশে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বহুল কাঙ্ক্ষিত দেশের প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন। এরপর কাওলা প্রান্ত থেকে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ১১ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ১৪ মিনিটে পার হয়ে তিনি আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে সুধী সমাবেশে পৌঁছেন। সেখানে রাখা উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন এবং পরে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন শেখ হাসিনা।
পরে আগারগাঁও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন <> ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন, যানচলাচল রোববার থেকে
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার যানবাহন এবং পথচারী চলাচল সম্পূর্ণ নিষেধ। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপর যেকোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহ থেকে নেমে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং ওঠানামার র্যা ম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা থাকবে ৪০ কিলোমিটার।
নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
নতুন এই পথে চলাচলকারীরা মনে করছেন, ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত রুট এটি। ঢাকার এ উড়াল সড়ক চালু হওয়ায় একদিকে দ্রুত যাতায়াত করা যাবে, অন্যদিকে নিচের সড়কে গাড়ির চাপ কমবে। এতে দুর্বিষহ যানজটের স্বস্তি মিলবে। বাঁচবে ঢাকাবাসীর কর্মঘণ্টা।
উড়াল সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করতে হলে টোল দিতে হবে। এজন্য যানবাহনকে চার শ্রেণিতে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে টোল। এতে সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চার শ্রেণির যানবাহনের মধ্যে গাড়ি, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (তিন টনের কম) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা, সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) ক্ষেত্রে ১৬০ টাকা, মাঝারি ধরনের ট্রাকের (ছয় চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা, আর বড় ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আকতার বলেন, কাওলা পয়েন্টে একটা টোলপ্লাজা আছে। এ ছাড়া কুড়িল, মহাখালী, বনানী ও তেজগাঁওয়ে আছে টোলপ্লাজা।
আপন দেশ/আরএ
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।