Apan Desh | আপন দেশ

নির্বাচনে কারচুপি করতেই প্রশাসনে রদবদল: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ১৫ জুন ২০২৩

নির্বাচনে কারচুপি করতেই প্রশাসনে রদবদল: মির্জা ফখরুল

ছবি : আপন দেশ

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশাসনের রদবদল নিয়ে জানালেন নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এখন থেকেই প্রশাসন সাজাচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরামের উদ্যোগে ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ওরা (আওয়ামী লীগ) নির্বাচন কিন্তু শুরু করে দিয়েছে। আরেকটি নির্বাচন। রিগিং করতে হবে, সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হবে … শুরু করে দিয়েছে। কয়েকটা পত্রিকায় রিপোর্ট বেরিয়েছে, পুলিশের ব্যাপক রদবদল, ব্যাপক পদোন্নতি…। গতকাল যে কাজটি করা হয়েছে সচিবদেরও রদবদল অর্থাৎ প্রশাসনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। একটাই উদ্দেশ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা তাদের মতো করে সব কিছু সাজিয়ে তু্লছে।

আজীবন ক্ষমতায় থাকার এহেন পরিকল্পনা করে অতীতে ফেরাউন চেয়েছিল, নমরুদও চেয়েছিল, এরশাদ সাহেবও চেয়েছিল’ উল্লেখ করে তারা পারেনি বলে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে এখন একটাই পথ, একটাই রাস্তা। রাস্তায় নেমে এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে জোরদার-বেগবান করতে হবে। গতকাল আমার যেটা মনে হয়েছে, (চট্টগ্রাম তারুণ্যের সমাবেশ) সমুদ্রের সেই উত্তাল তরঙ্গের মতো ঝড়-তরঙ্গ সৃষ্টি করে সেটাকে ভেঙে দিতে হবে। সবাইকে উঠে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, মানুষের স্বাধীনতা, ভোটের স্বাধীনতা, যে কারণে আমরা যুদ্ধ করেছি… সত্যিকার অর্থে যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, একটা মুক্ত সমাজ তৈরি করা। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই অতি দ্রুত যার যেখানে আছে সেখানে অবস্থান নিয়ে সেই কাজটা পালন করি।

গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করছে সংবাদপত্র ও ভিন্নমতকে দমন করছে বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের যে বডি কেমেস্ট্রি সেই বডি কেমেস্ট্রিতে তারা কখনোই ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। আপনি কোথাও যাবেন, কীভাবে চিনবেন আওয়ামী লীগকে? দেখবেন যে জোরে জোরে কথা বলছে, টেবিলটা তাপড়াচ্ছে—বুঝবেন সেটাই আওয়ামী লীগ করে….। আপনি পুলিশের কাছে যাবেন সেখানে অভিযোগ লেখাতে পারবেন না, আপনি কোর্টে যাবেন সেখানেও আপনি কোথাও বিচার পাবেন না। এ জন্য এ সরকারকে সরাতে হবে, সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

১৯৭৫ সালের ১৬ জুন চারটি পত্রিকা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এ জন্য সাংবাদিকদের একটি অংশ দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফোরামের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন ঠাকুরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর শিকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাংবাদিক নেতা এম এ আজিজ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য গনি চৌধুরী চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ