ফাইল ছবি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে খৎনা করানোর সময় গোপনাঙ্গের মাথার চামড়ার অংশ কেটে অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার পালিয়ে যান। তবে শিশুটি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিশুর নাম আল নাহিয়ান তাজবীব (৭)। সে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ক্যাপ্টেন আব্দুর রহমান বাড়ির আলমগীর হোসেন বাদলের ছেলে। বসুরহাট পৌরসভা এলাকার চাইল্ড কেয়ার স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র তাজবীব।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিশুর জেঠা শেখ ফরিদ জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাজবীবের বাবা তার সন্তানকে খৎনা করাতে নিয়ে যান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ওই সময় উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার বিজয় কুমার দে ও সৌরভ ভৌমিকের তত্ত্বাবধানে খৎনা করার সময় শিশুটির গোপনাঙ্গের মাথার চামড়া বেশি কাটা হয়। এতে অতিরিক্ত রক্তপাত হয় শিশুটির। পরবর্তীতে ছেলের বাবার সন্তানের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখেন রক্তপাতে কেবিনের বিছানা ভিজে গেছে। একপর্যায়ে কৌশলে দুই উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার পালিয়ে যান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক আমি জরুরি বিভাগে যাই। লিঙ্গের চামড়া একটু বেশি কেটে যাওয়ার কারণে অতিরিক্ত রক্তপাত হয়েছে। বর্তমানে শিশু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিশুটি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।
আপন দেশ/প্রতিনিধি/এমআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
