Apan Desh | আপন দেশ

মোখা আতঙ্কে সেন্টমার্টিন ছাড়ছে বাসিন্দারা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:০২, ১২ মে ২০২৩

আপডেট: ১৯:০৩, ১২ মে ২০২৩

মোখা আতঙ্কে সেন্টমার্টিন ছাড়ছে বাসিন্দারা

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার খবরে আতঙ্কে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ শুক্রবার বিকেল ও গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দ্বীপের প্রায় ১ হাজার বাসিন্দা টেকনাফসহ কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় চলে গেছেন। অন্যদিকে, দ্বীপবাসীকে সতর্ক করতে করা হচ্ছে মাইকিং।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সেন্ট মার্টিনে আশ্রয়কেন্দ্রের সংকট থাকায় ‘মোখা’ আসার খবরে তারা আতঙ্কিত। এ জন্য যাদের পক্ষে সম্ভব তারা টেকনাফসহ বিভিন্ন শহরে আত্মীয়-স্বজন ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে যাচ্ছেন। তবে বেশিরভাগ বাসিন্দাই দ্বীপ ছাড়তে নারাজ।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা রাহেনুর বলেন, সকাল থেকে দ্বীপ থেকে মানুষ টেকনাফের উদ্দেশে চলে যাচ্ছে। আমরাও ভাবছি, পরিবার নিয়ে টেকনাফে চলে যাব। ‘মোখা’ আঘাত হানলে দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে। এমনিতেও সাগরে সামান্য পানি বাড়লে দ্বীপের চারদিক ভেসে যায়।

আজ সকালে বিভিন্ন জিনিসপত্র ও পরিবারের ছয় সদস্যকে নিয়ে দ্বীপ ছাড়েন রহিমা খাতুন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আসছে, তাই টেকনাফে স্বজনদের কাছে চলে যাচ্ছি। কেননা এর আগে আমার আশপাশের অনেক লোকজন দ্বীপ ছেড়ে চলে গেছেন।
তবে দ্বীপ ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দা রফিক। তিনি বলেন, এ ঝড়ের মধ্যেই তো আমরা বড় হয়েছি। সাগরের মধ্যে থাকি। আমরা দ্বীপ ছেড়ে যাব কোথায়?

এদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বীপের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সাগরের বুকে জেগে ওঠা এই প্রবাল দ্বীপসহ মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ নদের তীরে অবস্থিত শাহপরীর দ্বীপে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হলে দ্বীপের তিন তলা সরকারি হাসপাতাল, জেলা পরিষদ, নৌবাহিনী ও পুলিশের ভবনসহ প্রায় ৩৭ টি হোটেল-কটেজে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে আবারও মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষ জোন সেন্ট মার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের জন্য নৌবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ইউএনও বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রায় সাত হাজার লোকজনের জন্য ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্বীপটিতে শুকনো খাবার ও অন্যান্য জিনিসপত্র মজুদ করা হয়েছে।
আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়