Apan Desh | আপন দেশ

ড. ইউনূসের বিপক্ষে লড়বেন খুরশীদ আলম

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আপডেট: ১২:২৮, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ড. ইউনূসের বিপক্ষে লড়বেন খুরশীদ আলম

ফাইল ছবি

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের প্রধান এবং একমাত্র জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে খুরশীদ আলম খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারণে অভিমান ভেঙে আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ড. ইউনূসের বিপক্ষে আইনি লড়াই করতে শ্রম আদালতে যাবেন এ আইনজীবী।

খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সোমবার রাতে আমার পল্টনের চেম্বারে এসেছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। এরপর আমি সিদ্ধান্ত নিই আগে যেভাবে মামলা পরিচালনা করেছি, সেভাবেই পরিচালনা করব।'

এদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর সূত্র জানায়, বৈঠকে কর্মকর্তারা খুরশীদ আলমকে বলেন, আপনি আমাদের প্রধান ও একমাত্র আইনজীবী। মামলাটি পরিচালনার জন্য মঙ্গলবার আপনি কোর্টে যাবেন, এটিই আমাদের অনুরোধ।

এর আগে সোমবার সকালে এ আইনজীবী সাংবাদিকদের জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের পক্ষে আইনি লড়াই থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর নতুন করে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন <> বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা সংলাপ আজ

খুরশীদ আলম বলেছিলেন, ‌সরকারি চাপমুক্ত থেকে এতদিন মামলা পরিচালনা করেছি। এ মুহূর্তে সরকার থেকে যদি আরও একজনকে দেয়া হয়; তবে এ মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়া ভালো।তার দাবি ছিল, এক মামলা দুজন আইনজীবী লড়লে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শ্রমিকদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় আরও ১৮টি মামলা হয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। গত ২৮ আগস্ট ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে গ্রামীণ টেলিকমের ১৮ জন শ্রমিক বাদী হয়ে পৃথকভাবে মামলাগুলো করেন। এ আদালতের চেয়ারম্যান (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা মামলাগুলো গ্রহণ করে আগামী ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ড. ইউনূসকে হাজির হয়ে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোট ২১ কোটি ৪১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৩ টাকা পাওনা পরিশোধ না করায় শ্রম আইন ২০০৬-এর ২১৩ ধারা লঙ্ঘিত হওয়ায় এ মামলাগুলো করেন বাদীরা। গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ১৭ জন ও বর্তমান একজন কর্মচারী এসব মামলার বাদী। জানা যায়, কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী, লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ হারে পাওনা বুঝিয়ে না দেয়ায় এ মামলাগুলো করা হয়। 

গত ৬ জুন একটি মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন একই আদালত। ওই মামলায় অভিযোগ গঠনের পর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষী গ্রহণ চলছে।

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। ওই মামলাটিও বিচারাধীন রয়েছে।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়