Apan Desh | আপন দেশ

মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিক ফেরত যাবেন বৃহস্পতিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:১১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৫:০২, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিক ফেরত যাবেন বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘাত চলমান। তবে বিদ্রোহীদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে জান্তা বাহিনী। শেষ পর্যন্ত আত্মরক্ষার্থে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ফেরত পাঠানো হবে মিয়ানমারের ৩৩০ নাগরিককে। তাদের মধ্যে রয়েছে বিজিপি, সেনাসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্য। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাঝসমুদ্রে মিয়ানমারের জাহাজে তাদের হস্তান্তর করা হবে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের এসব সদস্যদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। কক্সবাজারের কিনারি জেটি ঘাট। সেখান থেকে বাংলাদেশি জাহাজে করে মাঝসাগরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমায়। সেখানে অবস্থান করছে মিয়ানমারের জাহাজ। সেখানেই মূলত মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর এসব সদস্যদের হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে, বান্দরবানের তুমব্রু ও ডেকুবনিয়া সীমান্ত গত মঙ্গলবার রাত থেকে স্বাভাবিক। তবে মাঝে মাঝে তুমব্রু সীমান্তের ওপারে গুলির শব্দ শোনা যায়।

আরও পড়ুন>> মিয়ানমারের সৈন্যদের দু-এক দিনে ফেরত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের অভ্যন্তর সীমান্তে অস্থিরতা কমলেও কাটেনি আতঙ্ক। দুশ্চিন্তায় পাঁচ শতাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে থাকা দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা কেন্দ্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে নতুন কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়ার অনুমোদনও এসেছে। পুরো সীমান্ত এলাকাটা বিজিবির তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

মিয়ানমার থেকে আর কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, এমনিতেই মিয়ানমার নাগরিক প্রায় ১২ লাখ বাংলাদেশে রয়েছেন। এখন রোহিঙ্গা বা যেই আসুক, আর কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মিয়ানমারের চতুর্দিকেই যুদ্ধ লেগে আছে। বাংলাদেশ সীমানায় আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদের বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। আমরা দেখছি তাদের এই যুদ্ধ এতটাই তীব্র হয়েছে যে, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সরকারি কর্মকর্তা, ধারণা করছি দুই-একজন সেনা সদস্য এখানে ঢুকে পড়েছেন। এদের মধ্যে কেউ অস্ত্র নিয়ে এসেছেন, কেউ অস্ত্র ছাড়া ঢুকেছেন। তবে তারা এসেছেন জীবন রক্ষার জন্য, যুদ্ধের জন্য না।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়