Apan Desh | আপন দেশ

দ্রব্যমূল্য অনেকাংশে সংযত করেছি: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৫০, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১৭:৫১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দ্রব্যমূল্য অনেকাংশে সংযত করেছি: প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সরকার জনগণের সরকার। তাই জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট। ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

সরকারপ্রধান জানান, আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি। তবে, বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য যেমন জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গম, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিধায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণসহ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার-
 
• মূল্যস্ফীতি কমাতে বিভিন্ন শুল্কছাড় দেয়া হচ্ছে;

• অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত/অপরিশোধিত পাম তেল আমদানিতে আমদানি পর্যায়ে ১০% এবং উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমুদয় ভ্যাট হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে;

• পবিত্র রমজানে খেজুরের চাহিদা বিবেচনায় খেজুর আমদানিতে শুল্কায়নের ক্ষেত্রে যৌক্তিক মূল্যকে ভিত্তি ধরে শুল্কায়ন করা এবং কাস্টমস শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (CD) ও RD) রহিত করার ৭ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আরোপণীয় আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

• অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিবেচনায় পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্কহার পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে;

 • চাল আমদানিতে আরোপণীয় সমুদয় আমদানি শুল্ক হইতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং রেগুলেটরি ডিউটি ২৫% এর পরিবর্তে ৫% নির্ধারণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা জানান, রোজায় দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে পণ্যের পর্যাপ্ত যোগানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যতম নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে ভারত সরকারের কাছে ১ লাখ টন চিনি, ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর বাইরেও কৃষি বিপণন অধিদফতরের ওয়েবসাইটে দৈনিকভিত্তিতে কৃষিপণ্যের বাজারদর প্রকাশ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার’

চালের মজুত প্রসঙ্গে তিনি জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল বাজেটে ওএমএস খাতে ৪ লাখ টন চালের সংস্থান রয়েছে। সারাদেশে প্রতিদিন ওএমএস কার্যক্রমের মাধ্যমে ৮৬৭ টন চাল, ১ হাজার ৯৭ টন আটা বিক্রয় করা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি মন্ত্রণালয় কৌশল নির্ধারণ করেছে। 

অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, সিন্ডিকেট যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, সেজন্য প্রতিটি মিলের পাক্ষিক মিলিং ক্ষমতা ধানের ক্ষেত্রে পাঁচ গুণ থেকে কমিয়ে তিন গুণ করা হয়েছে। মজুত রাখার বিধান সংশোধন করায় বাজারে ধানের সরবরাহ বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। অবৈধ মজুত রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। 

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়