Apan Desh | আপন দেশ

‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:২৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপডেট: ১২:৪২, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, প্রতিষ্ঠিত হওয়া দরকার’

ছবি : সংগৃহীত

পুলিশ বাহিনীর কর্মনিষ্ঠা, সাহসিকতা ও পেশাদারত্বের মাধ্যমে পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়া একান্ত দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

উদ্বোধন শেষে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে, সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটি সব সময় হয়ে আসছে। এটি প্রতিষ্ঠিত হওয়া একান্ত দরকার। পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। করোনায় যখন আত্মীয় স্বজন পাশে ছিল না, পুলিশ ছিল মানুষের পাশে। মৃত মরদেহ দাফন কাফনের ব্যবস্থাও করেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগে বাধা দিতে যাওয়ায় পুলিশের উপরও হামলা হয়েছে। তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ জীবন দিয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে ওই জামায়াত-বিএনপি হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করেছে। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে গিয়েও আমাদের পুলিশ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অনেকে জীবনও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও শান্তি রক্ষায় তাদের অবদানের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অবদানের জন্য পুলিশ বাহিনীর ৪০০ কর্মকর্তা ও সদস্যকে সম্মানসূচক পদক পরিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪-এর উদ্বোধন করেন।

আরও পড়ুন <> প্রধানমন্ত্রী পুলিশের কর্মকর্তা-সদস্যকে পদক দিলেন

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। গত ১ ডিসেম্বর ২০২২ হতে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ পদকে ভূষিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে পদক পরিয়ে দেন।

পুলিশ সপ্তাহর বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে প্যারেড কমান্ডার হিসেবে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিসি মো. সোহেল রানা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেন।

পুলিশ সপ্তাহের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারগণের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারগণের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আইজিপির সম্মেলন, আইজি’স ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার পুরস্কার বিতরণ ইত্যাদি।

পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্ম অধিবেশনে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নেয়া হবে। পুলিশ সপ্তাহ আগামী ৩ মার্চ শেষ হবে।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়