Apan Desh | আপন দেশ

বিএনপি নির্বাচনে না আসলে আরও উকিল আব্দুস ছাত্তার বেরিয়ে আসবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ৩১ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৯:০৬, ৩১ জুলাই ২০২৩

বিএনপি নির্বাচনে না আসলে আরও উকিল আব্দুস ছাত্তার বেরিয়ে আসবে

বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ

ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির বেশিরভাগ নেতাই নির্বাচন করতে চায়। অথচ কাউকে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদেও নির্বাচন করতে দিচ্ছে না দলটি।

আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশ না নেয়, তাহলে বহু উকিল আব্দুস ছাত্তার দলটি থেকে বেরিয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে করিডোরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

পর্যবেক্ষকদলের মধ্যে ছিলেন ইউএসএর টেনিস ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান টেরি এস ইসলে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রিপোর্টার আয়ারল্যান্ডের সিনিয়র সাংবাদিক নিক পউল, জাপানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজ কর্মী ইউসুকি সুগু এবং চীনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজ কর্মী এনডি লিন।

পর্যবেক্ষকদল বলেছে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের কিছু নেতা অংশ নিতে চায় এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপির বেশিরভাগ নেতাই নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু বিএনপি এমন একটি দল কাউকে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদেও নির্বাচন করতে দিচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দিচ্ছে না। তাদের সবাই নির্বাচন করতে চায় সেটির বহিঃপ্রকাশ আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখেছি। উকিল আব্দুল ছাত্তারকে দেখেছি। এরকম বহু উকিল আব্দুল ছাত্তার আগামী নির্বাচনে বেরিয়ে আসবে।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যবেক্ষক দল জানতে চেয়েছে আগামী নির্বাচন করার লক্ষ্যে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কী পরিস্থিতি। সেগুলো নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। আমি তাদের জানিয়েছি নির্বাচন হবে ইসির অধীনে। নির্বাচনকালীন সময়ে বর্তমান সরকার শুধুমাত্র ফ্যাসিলেটরের (সাহায্যকারী) ভূমিকা পালন করবেন।

নির্বাচনকালীন সময়ে অর্থাৎ নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পর সরকারের আসলে মাঠ প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রশাসন এবং অন্যান্য প্রতিতিষ্ঠান যেগুলো নির্বাচন কাজে ব্যবহৃত হয় তাদের ওপরে কোনো কর্তৃত্ব থাকবে না। ইসির অনুমতি ছাড়া সরকার কোনো কর্মকর্তাকে ট্রান্সফার করতে বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে না

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি তাদের এগুলো বলেছি। তারা বুঝতে পেড়েছে সরকারের ভূমিকা গৌণ। তখন ইসির ভূমিকা হচ্ছে মূখ্য। সাম্প্রতিক সময়ে ইসি দেখাতে সামর্থ হয়েছে যে তারা শক্তিশালী সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেমন গাইবান্ধার নির্বাচন সরকারি দলের আপত্তি থাকা শর্তেও বাতিল করেছেন।

>>> আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হটাতে বিএনপি লাশ চায়: ওবায়দুল কাদের

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন যে, আমাদের দেশে যে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হয়েছে এবং ভোটারদের অংশগ্রহণও ৫০ শতাংশের বেশি ছিল। সেখানে এক প্রার্থীর গায়ে ঘুষি লেগেছিল, সেটি সমীচীন হয়নি। যে ঘুষি দিয়েছে তাকে এবং তার আশেপাশে যারা ছিল তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-১৭ আসনে একজন প্রার্থীকে হেনস্তা করা হয়েছিল। সেটি নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে, বরিশালে ঘটনাটিও নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে।  

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনায় যে বিষয়টি উঠে এসেছে এগুলো ছোট ঘটনা, এতো বড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে খুবই কম। ফ্রান্সে ভায়োলেন্স প্রোটেস হয়, ইউরোপে প্রোটেস হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন হওয়ার পর সেই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সে তুলনায় আমাদের দেশে দুইটি ঘটনা, যেগুলো গণমাধ্যমে অনেক ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কেউ কেউ দেখিয়েছেন। আমাদের বিরোধীদল সেগুলো নিয়ে অনেক সোচ্চার হয়েছে। একটি ঘুষিকে কেন্দ্র করে বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে কিনা? এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।  

মন্ত্রী বলেন, আমার ধারণা তারা বুঝতে পেরেছে যে, বাংলাদেশে ইসির অধীনে বর্তমান সংবিধানের আলোকে একটি অবাধ সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব। যারা এসেছিলেন তারা বিস্তৃতভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন।  

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ