Apan Desh | আপন দেশ

নানার মতো কেউ ভালোবাসেনি: পরীমনি

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

নানার মতো কেউ ভালোবাসেনি: পরীমনি

ছবি: পরীমনির ফেসবুক থেকে

একমাত্র অভিভাবক নানাকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনি। এই নায়িকার ভাষ্য, ছেলেবেলায় বাবা-মাকে হারালেও এই প্রথম নিজেকে এতিম বলে মনে করছেন তিনি।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ফেসবুকে নানা শামসুল হক গাজীর কবরের ছবি শেয়ার করে পরীমনি লিখেছেন, এই জীবনে আমার নানার মতো কেউ আমাকে ভালোবাসেনি আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কী ছিলো।

শুক্রবার রাত ২টা ১১ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরীমনির নানা শামসুল হক গাজীর মৃত্যু হয়েছে। এই হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন পরীমনির নানা। শুক্রবার সকালে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে এ খবর জানিয়েছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।

শামসুল হক গাজীর বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী গ্রামে। পেশায় তিনি স্কুল শিক্ষক ছিলেন। শুক্রবার সিংহখালী গ্রামে সমাহিত করা হয় তাকে। 

পরীমনি ফেসবুকে বলেন, এই কবর স্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগেনি কোনো দিন। এই জীবনে আমার নানার মতো কেউ আমাকে ভালোবাসেনি আর। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন এই মানুষটা আমার জন্যে কী ছিলো। আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিলো আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে।

‘এই মৃত্যুর চেয়ে বড় শোক কোনোদিন আসবে না’ জানিয়ে পরীমনি বলেন, যদি আসেও, সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কতো ভাগ্যে আমি আমার নানুর সঙ্গে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কতো সান্ত্বনায় রেখে গেলো আমাকে। জীবন সুন্দর। মৃত্যু যে বড় সুন্দর।

ছোটবেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে পরীমনি বেড়ে ওঠেন ভাণ্ডারিয়ায় তার নানা বাড়িতে। সেখান থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন পরীমনি। 

আরও পড়ুন <> পরীমনি শোকে ভাসছেন

পরীমনির ভাষ্য অনুযায়ী, নানা শামসুল গাজীই ছিলেন তার ‘অভিভাবক’। পরীমনি ঢাকায় স্থায়ী হলেও তার নানা শামসুল হক ভাণ্ডারিয়াতেই থাকতেন। তবে পরীমনির সুসময়-দুঃসময়ে বরাবর নাতনির পাশে দেখা গেছে তাকে।

পরীমনিও তার জীবনে শামসুল হককে দিয়েছিলেন ‘বাবার জায়গা’। ছয় বছর আগে বাবা দিবসে এক ফেসবুক পোস্টে পরীমনি এ কথা জানিয়েছেন। 

নানাও মনে করতেন নাতনিই তার সব। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শামসুল হক গাজী বলেছিলেন, আমার কাছে একদিকে পৃথিবী আরেক দিকে পরী। ওই-ই আমার পৃথিবী।

পরীমনির ফেসবুকের ফটো গ্যালারিতে নানা-নাতনির বহু ছবি জায়গা পেয়েছে। এমনকি কভার ফটোতেও পরীমনি যে ছবিটি রেখেছেন, তাতে আছেন তার নানা।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ