Apan Desh | আপন দেশ

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:৪৩, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের হুঁশিয়ারি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে উত্তেজনা তুঙ্গে। জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেলে বাংলাদেশিসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দূত অং কিউ মোয়েকে ডেকে হুঁশিয়ার করেছে সরকার।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আসেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। আধঘণ্টা পর বের হয়ে যান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উইংয়ের কর্মকর্তা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেন।

পরে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। মিয়ানমারেরও প্রতিবেশী দেশ ভারত। দিল্লি সফরে ভারতের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা হবে। যেহেতু বর্তমানে মিয়ানমার ইস্যু এসেছে, তাই এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনাটা স্বাভাবিক।’’

আরও পড়ুন>> মিয়ানমার ইস্যুতে যা বললেন ওবায়দুল কাদের

“আজকে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হয়েছিল। ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তাদের আভ্যন্তরীণ যে সংঘাত, সেটির কারণে আমাদের দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ, একইসাথে সেখান থেকে গোলাবারুদ এসে আমাদের এখানে পড়া, আমাদের মানুষ আহত-নিহত হওয়া, এই পুরো জিনিসটা তাদেরকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।”

মন্ত্রী বলেন, “রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা যেখানে কাজ করছি, সেই প্রেক্ষাপটে এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত, অগ্রহণযোগ্য। এটা আমরা জানিয়েছি।”

২০২১ সালে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত ক্ষমতা নেয় সেনাবাহিনী। গত বছরের অক্টোবর থেকে দেশটির তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনী একজোট হয়। পরে তারা জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।

আরও পড়ুন>> মিয়ানমারের ২৩ ‘বিদ্রোহী’ আটক

বাহিনীগুলো হলো- তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), আরাকান আর্মি (এএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)। তারা শান, রাখাইন, চীন ও কেয়াহ রাজ্যে লড়াই চালাচ্ছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সেনাপোস্ট দখল করে ইতোমধ্যে তারা সাফল্য দেখিয়েছে।

আরাকান আর্মি (এএ) এ জোটের অন্যতম অংশ। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর একটি সশস্ত্র বাহিনী এটি। তারা রাখাইনের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করছে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ