ইতালিতে আরেক বাংলাদেশির আত্মহত্যা

পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে কাজের সন্ধানে ইতালি যান মোহাম্মদ আবু বক্কর (৩২)। কিন্তু অবৈধপথে ইতালি আসায় বেকার ছিলেন প্রায় এক বছর। ঘিরে ধরে হতাশা। এ থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যা করেন ওই যুবক। দেশটির রাজধানী রোমের অস্ট্রিয়া এলাকার একটি পার্কে তার মরদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতের ঘটনা এটি।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় বাংলাদেশিরা তার পরিচয় শনাক্ত করে নিহতের স্বজনদের জানায়।

নিহত প্রবাসী মোহাম্মদ আবু বক্কর বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সদাবরি গ্রামে। তিনি ঈদগাহ পাড়ার সওদাগর মন্ডলের ছেলে। প্রাথমিকভাবে এটিকে ‘হতাশাজনিত আত্মহত্যা’ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবু রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে স্থানীয় প্রশাসন।

জানা যায়, নিহত আবু বক্কর প্রায় ৭ বছর ইউরোপের দেশ গ্রিসে অবৈধ অবস্থায় ছিলেন। সেখান থেকে গত বছর বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা হয়ে অবৈধপথে ইতালিতে পাড়ি জমান। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত বৈধ কাগজ না থাকা, আর কাজ না পাওয়ার হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। এমতাবস্থায় পারিবারিক টানাপোড়নের কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন তিনি। বর্তমানে আবু বক্করের মরদেহ স্থানীয় পলিটেকনিক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

আরও পড়ুন>> মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫ শতাধিক আটক

এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি ইতালির রোমে একটি গির্জার পেছনে সুমন মিয়া (২৫) নামে এক বাংলাদেশি আত্মহত্যা করেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার নীলখী পরবোর হোমনা চম্পক নগরে। তার বাবার নাম বারিক।

এ ঘটনায় কুমিল্লার মুরাদ মহিবুর নামে এক ইতালি প্রবাসী ফেসবুকে লিখেছেন, সুমন মিয়া সাত মাস আগে ইতালির রোম শহরে এসেছেন। মাত্র ২৫ বছরের ওই যুবক ইতালিতে সোনার হরিণ ধরতে এসেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সাত মাস বেকার থেকে কোনো কাজ না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে জীবনটাকে শেষ করে দিয়েছেন। এমন নির্মম মৃত্যু কারোই কাম্য নয়।

তিনি আরও লেখেন, ইতালিতে নতুন করে যারা আসবেন, তারা অবশ্যই বৈধপন্থায় স্পন্সর ভিসায় আসবেন। কৃষি ভিসায় এসে এখানে তেমন কোনো কাজ নেই। তাই আপনজন না থাকলে না আসাটাই ভালো।

আপন দেশ/এসএমএ