ছবি: সংগৃহীত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে ট্রেনে নীচে ছয় ও দুই বছরের সন্তানদের নিয়ে কাটা পড়লেন মা সুমি আক্তার। স্বামী-শাশুরির নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে সন্তানদের নিয়ে আত্মহতননের পথ বেছে নিয়েছে মর্মে মামলা করেছে সুমির বাবা। পুলিশ স্বামী রাশেদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেন।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি)ট্রেনের চাকায় কাটা পড়ে সুমি আক্তার ও তার মেয়ে তাজমিরা তাবাসসুম তাসিন (৬)। ছেলে তৌহিদ (২ বছর) প্রথমে আহত অবস্থায় তৌহিদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে সন্ধ্যায় মারা যায়।
নিহতরা হলেন, জেলার পাটগ্রাম উপজেলার রহমানপুর এলাকার রাশেদুজ্জামানের স্ত্রী সুমি আক্তার, তার মেয়ে তাজমিরা তাবাসসুম তাসিন ও ছোট ছেলে তৌহিদ।
ঘটনার রাতে নিহত সুমির বাবা আজিজুল ইসলাম লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় সুমির স্বামী রাশেদুজ্জামান ও শাশুড়ি রাশেদা বেগমের নামে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা করলে সেই মামলায় রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাশেদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, ১২ জানুয়ারি রাতে ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে সুমিকে তার শাশুড়ি ও স্বামী মারধর করে। পরেরদিন শুক্রবার আবারও ঝগড়া লাগে তাদের মধ্যে এই সময় সুমিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় স্বামী ও শাশুরি। সুমি রাগে ক্ষোভে দুই সন্তানকে নিয়ে ট্রেন আসার মুহূর্তে রেল লাইনে লাফ দেয়। এতে সুমি ও তার মেয়ে তাসিন ট্রেনে কাটা পড়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। আহত হয় ২বছর বয়সী তৌহিদ। পরে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করালে সন্ধ্যায় সে মারা যায়।
ঘটনার রাতেই সুমির বাবা আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় নিহত সুমির স্বামী রাশেদুজ্জামান ও শাশুড়ি রাশেদা বেগমকে। শুক্রবার রাতেই পুলিশ বুড়িমারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাশেদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে।
আপন দেশ ডটকম/ সবুজ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
