Apan Desh | আপন দেশ

মরিচ শুকানোয় ব্যস্ত বগুড়ার শ্রমিকরা

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মরিচ শুকানোয় ব্যস্ত বগুড়ার শ্রমিকরা

ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাবতলী উপজেলার কৃষকের উঠানে টিনের চালে, যমুনা গোয়েন বাঁধে লাল মরিচ আর মরিচ।  দারুন ব্যস্ত সময় পার করেছেন মরিচ শুকানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা। ব্যস্ত প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও। তারা এখান থেকে মরিচ সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে ফ্যাক্টরিতে।

বগুড়ার মরিচের খ্যাতি দেশ জোড়া। জেলার  এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।। ৩৫- কোটি টাকার শুকনা ও ২০০ কোটি টাকার টোপা/কাাঁচা মরিচ উৎপাদনের আশা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা।

টোপা/কাঁচা মরিচে শুকনা আকারে হিসাব করলে ২৫০ কোটি টাকা হবে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন।  সব মিলিয়ে এ মৌসুমে  প্রায় ৫৫০ কোটি টাকার মরিচ পাওয়া যাবে বলে জানান এ  কৃষি কর্মকর্তা। বর্তমান বাজারের চেয়ে যদি মূল্য বেড়ে যায় তবে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

যমুনাবেষ্টিত সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলের পাকা মরিচ গাছ থেকে উঠাতে ব্যস্ত শত শত নারী-পুরুষ শ্রমিকরা। মরিচ নিয়ে বিশাল কমর্যঞ্জ  চলছে বগুড়ায় মরিচের প্রধান উৎপাদন অঞ্চল সারিয়াকান্দি উপজেলার চরাঞ্চলে। এ ছাড়া জেলার গাবতলী, সোনাতলা শাজাহানপুর ও ধুনটেও মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।

পলি পড়া চরে মরিচেই ভাগ্য ফিরেছে মরিচ চাষীদের। জেলায়  এ বছর ছয় হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে  উচ্চ ফলনশীল মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৫২৫ মেট্রিকটন। এবার সাত ৫০০ মেট্রিকটন শুধু শুকনা মরিচ পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতরের সহকারি কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন।

আরও পড়ুন <> বায়ুদূষণে ঢাকা শীর্ষে

আর কাঁচা/টোপা মরিচ পাওয়া যাবে ৫২ হাজার ৩৬৮ মেট্রিক টন। যা থেকে পাওয়া যাবে ১৮ হাজার ৫২৫ মেট্রিকট শুকনা আকারে। তিনি জানান, শুকনা ও কাঁচা/টোপা লাল মরিচ  মিলিয়ে  প্রায় ৫০০ কোটি ৮৪ লাখ টাকার উৎপাদন  হবে।

ফরিদ উদ্দিন আরও জানান,  বাজারে এখন প্রতিকেজি শুকনা মরিচ  ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান বাজারের চেয়ে মরিচের বাজার উর্ধমূখি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

এদিকে প্রস্তুত কোম্পানিগুলো মরিচ কেনার জন্য আগাম  অর্থ দিয়েছে। তারা ভালো জাতের মরিচ সংগ্রহ করতে সারিয়াকান্দির চরে ডেরা বেঁধেছে। কোম্পানির লোকজন শুকনা মরিচ সংগ্রহে দারুন ব্যস্ত সারিয়াকান্দির যমুনা নদীর শুকিয়ে যাওয়া নদীর বালি পার হয়ে দুর্গম চর থেকে আর সারিয়াকান্দির সদরে মরিচ বিক্রি করতে হয় না। ক্রেতা কোম্পানিগুলো কৃষকের উঠান থেকে বস্তা ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে কষ্ট লাঘব হচ্ছে বলে জানান মরিচ চাষি আজিবর।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, মরিচের জন্য বিখ্যাত সারিয়াকান্দিতে বরাবরের মতো এ বছরও মরিচের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। মরিচ চাষের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান এবং সহযোগিতা দেয়া অব্যাহত  আছে বলে জানান তিনি।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়