Apan Desh | আপন দেশ

রাজশাহীর মিষ্টি পান জিআই পণ্যের নিবন্ধন সনদ পেল

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: ২৩:৪৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রাজশাহীর মিষ্টি পান জিআই পণ্যের নিবন্ধন সনদ পেল

ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী অঞ্চলের মিষ্টি পান জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদপত্র পেয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়েরর আওতাধীন পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নতুন চারটি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক (এও) ইস্যু সনদপত্র করেন। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) নতুন করে ১৪টি পণ্য জিআই সনদ লাভ করেছে। এর আগে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে রাজশাহীর পান জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকের প্রধান অর্থকরী ফসল মিষ্টি পানের জিআই নিবন্ধন চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) তিনি আবেদন করেন।

রাজশাহী জেলার সর্বাধিক মিষ্টি পান উৎপাদিত হয় মোহনপুর উপজেলায়। এ ছাড়া জেলার দুর্গাপুর, বাগমারা, পবা, চারঘাট ও পুঠিয়া উপজেলায় পান চাষ হয়। সম্প্রতি জেলায় মোট পানচাষের পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র মোহনপুর উপজেলায় প্রায় ১৩১৭ হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হয়। রাজশাহীতে বার্ষিক পান উৎপাদনের পরিমাণ ২১ হাজার ৭২ মেট্রিক টন। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৬০৭ কোটি ৪৬ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা।

মোহনপুর উপজেলার সর্বত্রই পানের চাষ হলেও মৌগাছি, মতিহার, ধুরইলসহ কেশরহাট পৌর এলাকা উল্লেখযোগ্য। এখানকার উৎপাদিত পান বাজারজাত করতে উপজেলার মৌগাছি হাট, একদিলতলা হাট, পাকুড়িয়া হাট, কেশরহাট, মহব্বতপুর হাট, বাকশিমইল হাট, ধুরইল হাটসহ অন্তত ১০টি স্থানে প্রতিদিন পান বেচাকেনা হয়। এসব হাটে পান কিনতে আসেন ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, নওগাঁ, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, গাইবান্ধা, শেরপুর, জামালপুর, চাঁপাই নবাববগঞ্জ বিভিন্ন জেলার পাইকারেরা।

আরও পড়ুন <> ‘শিশুসাহিত্যিক’ টিপুর পর্নো ভিডিওর মডেল ছিন্নমূল শিশুরা

উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ নাটোরের কাঁচা গোল্লার জিআই নিবন্ধন চেয়ে আবেদেন করেছিলেন। যা দেশের ১৭তম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ ছাড়া ৩১টি পণ্যের জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) সনদ পেয়েছে বাংলাদেশ। 

এ পর্যন্ত, বাংলাদেশের জিআই স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পণ্যসমূহ হচ্ছে- জামদানি, ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুরের কাটারীভোগ, কালোজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহীর সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, বাগদা চিংড়ি, ফজলি আম, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম, বগুড়ার দই, সিলেটের শীতলপাটি, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর আতর, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মন্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, নরসিংদীর অমৃত সাগরকলা, রাজশাহীর মিষ্টি পান, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও জামালপুরে নকশী কাঁথা।

জিআই হচ্ছে ভৌগলিক নির্দেশক চিহ্ন যা কোন পণ্যের একটি নির্দিষ্ট উৎপত্তিস্থলের কারণে এর খ্যাতি বা গুণাবলী নির্দেশ ব্যবহৃত হয়। সাধারণত জিআইতে উৎপত্তিস্থলের নাম (শহর, অঞ্চল বা দেশ) অন্তর্ভুক্ত থাকে। কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ওই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাহলে সেটিকে ওই অঞ্চল বা দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়