Apan Desh | আপন দেশ

বোরো ধানে হাসবেন চকরিয়ার কৃষকরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:৫০, ৪ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১১:৪৪, ৪ মার্চ ২০২৪

বোরো ধানে হাসবেন চকরিয়ার কৃষকরা

ছবি : আপন দেশ

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কক্সবাজারের চকরিয়ায় ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা করা হয়েছে। এখন জমির পরিচর্যাসহ নানা আনুষঙ্গিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রায় লক্ষাধিক কৃষক পরিবার। কৃষকেদের আশা ভালো ফলন হবে। তাদের সংসারে সমৃদ্ধি আসবে।

চকরিয়া উপজেলার কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা যেন অর্জিত হয় সেজন্য মাঠপর্যায়ে প্রতিটি ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের নানা পরামর্শসহ সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। তালিকাভুক্ত প্রান্তিক কৃষকদের সার, বীজসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রণোদনা হিসেবেও দেয়া হয়েছে আগেভাগে। এতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বোরো ধানের চারা রোপণ কাজ শেষ হয়েছে। 

চকরিয়া উপজেলার প্রান্তিক কৃষক এবং কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য অববাহিকার মাতামুহুরী নদীর বাঘগুজারা ও পালাকাটা-রামপুর পয়েন্টে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত রাবার ড্যামের মাধ্যমে নদীর মিঠাপানি ধরে রাখা হয়েছে। এ পানি সরবরাহের মাধ্যমে বোরো আবাদসহ রকমারী সবজির চাষাবাদ চলছে। মিঠাপানির প্রবাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে পাওয়ায় এবারো বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।

সরেজমিন দেখা গেছে, চকরিয়া পৌরসভা ও উপজেলার হারবাং, বরইতলী, কৈয়ারবিল, লক্ষ্যারচর, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমু বিলছড়ি, ফাঁসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, চিরিংগা, সাহারবিল, বিএমচর, পূর্ব বড় ভেওলা, পশ্চিম বড় ভেওলা, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া ও  বদরখালী ইউনিয়নে বোরো আবাদের অধীনে রোপন করা হয়েছে ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ৫৮, ব্রি-ধান ৬৭, ব্রি-ধান ৭৪, ব্রি-ধান ৮৮, ৮৯, ৯২, ৯৯, বঙ্গবন্ধু-১০০, বীনা-১০, হিরা, সিনজেন্টা, এসিআই-ব্র্যাকের হাইব্রিড জাতের চারা। তবে উফসি জাতের ধানের ফলন বেশি হওয়ায় এবারো সেই জাতের ধানের আবাদ বেশি পরিমাণে হয়েছে উপজেলায়। এ তথ্য জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা কৃষিবিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাজীব দে।

চকরিয়ার হারবাংয়ের পূর্ব বৃন্দাবনখিল গ্রামের কৃষক সালেহ আহমদ বলেন, পাঁচ একর জমিতে শ্রমিক দিয়েই ধানের চারা রোপণ করেছি। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় মিঠাপানির সরবরাহ করা বেশ কষ্টকর। তাই পাম্প দ্বারা জমিতে সেচ দিতে হচ্ছে। এতে প্রতি কানি (৪০ শতাংশ) জমিতে সেচ বাবদ খরচ পড়েছে দুই হাজার ৫০০ টাকা।

ঢেমুশিয়ার কৃষক মোহাম্মদ আলী আহমেদ বলেন, শুষ্ক মৌসুমের শেষদিকে হলেও মাতামুহুরী নদীতে রাবার ড্যাম দিয়ে আটকানোর কারণে মিঠাপানির যথেষ্ট উপস্থিতি রয়েছে। এতে কৃষকেরা নির্বিঘ্নে বোরোর আবাদ শেষ করেছেন।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম নাসিম হোসেন বলেন, প্রতিবছরের মতো চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভায় ১৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বোরো আবাদ শেষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক তদারকি ও প্রণোদনার মাধ্যমে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আমাদের আশা।

আপন দেশ/প্রতিনিধি/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়