Apan Desh | আপন দেশ

জামিনে এসে মাদকের রমরমা কারবার

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:২৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২৪

জামিনে এসে মাদকের রমরমা কারবার

ছবি: সংগৃহীত

দোকান পোড়ানোর মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন শ্যামলী (৪৫)। তবে এবার রীতিমতো মাদকের হাট বসিয়েছেন। সংবাদ সংগ্রহে গেলে রাজশাহীর আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারকে হত্যার হুমকি দেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) চন্দ্রিমা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই সাংবাদিক। 

এদিন দুপুরে সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহে যান সাংবাদিক ইফতেখার আলম বিশাল। শিরোইল কলোনি রেলওয়ে বস্তিতে তাকে হত্যার হুমকি দেন শ্যামলী ও তার মেয়ে খালেদা।

জানা যায়, হত্যা, বাড়ি পোড়ানো, মাদকসহ অন্তত ডজনখানেক মামলার আসামি শ্যামলী। গত ১৫ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন নিশা বেগম। এ কারণে তাকে মারধর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দেন শ্যামলী। তার বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা থানায় মামলা হয়। কিন্তু সাতদিনের মাথায় আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন তিনি। তবুও থেমে নেই তার মাদকের কারবার।

স্থানীয়রা বলছেন, জামিনে এসে আগের তুলনায় অবৈধ কারবার দ্বিগুন বাড়িয়েছেন। এছাড়া তার আক্রমণাত্মক ও হিংস্র আচরণে তটস্থ তারা। এমন অরাজকতা সৃষ্ঠি করেছে কারবারের পথ সুগম করতেই। যেন পারবর্তীতে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে না পারে। তার এমন একাট্টা আগ্রাসী ভাবের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও দোষাচ্ছেন স্থানীয়রা। শক্ত হাতে দমন করলে এত সাহস পেতো না বলেও জানান।

নগরীর শীর্ষ মাদক কারবারিদের অন্যতম প্রধান তিনি। ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ -এই এক নামেই বেশ পরিচিত। তবে মাদক কারবারে তিনি একাই নন, স্বামী-সন্তান, শ্বাশুড়ি-জামাই মিলেই জড়িত। বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হন। জেল খাটেন। আবার ছাড়াও পান। কারামুক্ত হয়ে ফের নতুন উদ্যমে নামেন এই অন্ধকার জগতে।

আরও পড়ুন>> বাড়ির আঙিনায় ৫ কোটি টাকার হেরোইন

সবশেষ গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় শ্যামলীকে গ্রেফতার করে চন্দ্রিমা থানা পুলিশ। তার কাছে পাওয়া যায় হেরোইন। তিনি রেলওয়ে বস্তি এলাকার খায়রুলের স্ত্রী। এক সময় অন্যের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতেন। এখন রেলের জমিতে টিনের ঘর তুলে করছেন মাদকের রমরমা কারবার।

এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার এসআই আইনুল ইসলাম বলেন, দোকান পোড়ানোর মামলায় বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেছেন শ্যামলী। মুন্সির কাছে তার রিকল জমা দিয়ে গেছেন।

মাদকের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেবেন না ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম। তিনি বলেন, মাদক পেলেই তাকে আবার আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

আপন দেশ/আইবি/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ