Apan Desh | আপন দেশ

ঈদযাত্রায় যানজট নেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে

টাঙ্গাইল ও গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ৭ এপ্রিল ২০২৪

ঈদযাত্রায় যানজট নেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রায় রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই বেড়েছে গাড়ির চাপ। এতে চন্দ্রার আশপাশে কিছু সময়ের জন্য যানজট দেখা দিলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই কোনো যানজট। ফলে ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন। তবে ঈদ যতোই ঘনিয়ে আসছে যানবাহনের চাপও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এদিন দুপুরে চন্দ্রায় দেখা যায়, গাবতলী, আশুলিয়া, বাইপাইল, সাভার ও নবীনগর এলাকা থেকে আসা বাস চন্দ্রা এলাকা পাড় হয়ে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছে। এ সময় যাত্রীর জন্য অপেক্ষমান বাসের কারণে সামান্য যানজট ও ধীর গতি তৈরি হয়। তা অল্প সময়ের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকায় চারলেন প্রকল্পের ২য় ফেইজের নির্মাণকাজ চলছে। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী রেল সেতুর লাইন সম্প্রসারণের নির্মাণ কাজ চলমান। বিধায় স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর এ অংশ ঝুঁকিপূর্ণ ও যানজট আশঙ্কা করছেন চালাক ও যাত্রীরা।

উত্তরবঙ্গগামী আদিল আবির পরিবহনের যাত্রী আল আমিন বলেন, চন্দ্রায় যানজট নেই সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। ঈদে চন্দ্রায় যানজট থাকে, অতিরিক্ত ভাড়ার হাকডাক থাকে তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টে গেছে।

পরিবার নিয়ে সিরাজগঞ্জ যাচ্ছেন শফিকুল ইসলাম। তিনি পেশায় গার্মেন্টস শ্রমিক। তিনি বলেন, যাত্রীরা কাউন্টারে এসে অপেক্ষা করলেও বাসগুলো কাউন্টারের সামনে না দাঁড়িয়ে অনেক দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। ফলে হেঁটে গিয়ে বাসে উঠতে হয়। যদি প্রতিটি কাউন্টারের সামনে নির্দিষ্ট জায়গাতে বাস দাঁড়াত তাহলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, চন্দ্রা কেন্দ্রিক তিন শিফটে ভাগ হয়ে পুলিশ কাজ করছে। এর মধ্যে ৫৯৭ জন পুলিশ সদস্য ট্রাফিক সামলাচ্ছে। এছাড়া থানা পুলিশসহ এক হাজারের ওপরে পুলিশ সদস্য চন্দ্রার দিকে মোতায়েন রয়েছে। মোড়ের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় বিনা কারণে কোনো যানবাহনকে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফউদ্দিন জানান, স্বাভাবিকের তুলনায় এ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ অনেকটা বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যানবাহন স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করতে পারছে। তবে যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে গেলে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন একমুখী (ওয়ানওয়ে) করে দেয়া হবে। যাতে করে ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারে। এছাড়া যাটজট নিরসনে মহাসড়কে ৭ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে কোনো যানবাহন বিকল বা দুর্ঘটনা কবলিত হলে তা দ্রুত অপসারণ করা যায়।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ