Apan Desh | আপন দেশ

নাসিরনগরে ব্যাপক সংঘর্ষে ৩০ নারী-পুরুষ আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৫০, ১২ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ২০:৫২, ১২ এপ্রিল ২০২৪

নাসিরনগরে ব্যাপক সংঘর্ষে ৩০ নারী-পুরুষ আহত

ছবি: সংগৃহীত

ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘণ্টাখানেক ধরে চলে এ সংঘর্ষ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা। এলাকাবাসী জানায়, এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওসি বলেছেন, পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বিবদমান দুই পক্ষের এক পক্ষকে সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আওয়াল সমর্থন দেন। অপর পক্ষ সমর্থন পায় মো. রিপন মিয়া নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির। বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসে আলোচনার সিদ্ধান্তও হয়। 

স্থানীয় লোকজন জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ফান্দাউক গ্রামের কিশোর-তরুণরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে। খেলা চলাকালীন দুই তরুণের মধ্যে ঝগড়া হয়। যা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে গড়ায়। এ খবরে বড়রাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে সাধুপাড়া নূরে মদিনা মসজিদে যান আবদুল আওয়ালের পক্ষের লোকজন। নামাজ থেকে বের হওয়ার পর তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে রিপনের পক্ষের লোকেরা। 

এ সংবাদ দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে নারীসহ দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। পরে তাদের পুলিশি পাহারায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তাদের মধ্যে মো. নূরে আলম, মো. সজল, নাছির মিয়া, সাগর মিয়া, শিমুল মিয়া, তফু মিয়া, দিদার মিয়া, কাজল মিয়া, ফসাল শিয়া, হৃদয় মিয়া ও নূরেম বেগম আওয়ালের পক্ষের লোক। প্রতিপক্ষের আহতরা হলেন– আলা উদ্দিন, গোলাম নূর, রুবেল মিয়া, শাহনাজ বেগম, জিনিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও রুজিনা বেগম।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আহত আরও বেশ কয়েকজন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেছেন। যে কারণে তাদের নাম জানা যায়নি।

সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আওয়াল এ বিষয়ে বলেন, ছোটদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশের ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার নামাজ পড়তে গেলে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকজন আমাদের পক্ষের লোকদের ওপর হামলা করে।

রিপন মিয়ার পক্ষের মো. রাজা মিয়া বলেন, ঈদের দিন ছোট ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়। স্থানীয় মাতবররা বিষয়টি মিমাংসা করে দিবেন–বলছিলেন। কিন্তু জুমার নামাজ থেকে বের হওবার পর আওয়ালের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এর বেশি কিছু জানিনা। 

নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা বলেন, ফান্দাউকে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। 

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ