Apan Desh | আপন দেশ

তিন দফা না মানলে জ্বালানি তেল উত্তোলন-পরিবহন বন্ধের হুমকি

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ৯ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৬:০৭, ৯ জুলাই ২০২৩

তিন দফা না মানলে জ্বালানি তেল উত্তোলন-পরিবহন বন্ধের হুমকি

ছবি : আপন দেশ

তিন দফা দাবি না মানলে আগামী ১ আগস্ট থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস্ এজেন্টস্ অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন নেতারা।

জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী কমিশন এজেন্টের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সু-স্পষ্ট গেজেট প্রকাশের দাবিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন এ কথা জানানো হয়।

রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে খুলনায় বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে- জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্টের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।

বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস্ এজেন্টস্ অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন খুলনা বিভাগীয় কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব শেখ ফরহাদ হোসেন।

এতে তিনি বলেন, বিভিন্ন রকম ট্যাক্স, লাইসেন্স, ছাড়পত্র পেট্রোল পাম্প কোনভাবে কল-কারখানার আওতায় পড়ে না। ফিলিং ষ্টেশনগলো ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন তেল কোম্পানি থেকে উত্তোলন পূর্বক বিক্রি করে। ফিলিং ষ্টেশন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নয়, অথচ কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর তাদের লাইসেন্স নেওয়ার জন্য তাদের চাপ দিচ্ছে। যেহেতু ফিলিং ষ্টেশন কল-কারখানা নয়, সেহেতু ফিলিং ষ্টেশন থেকে পরিবেশ দুষণ হওয়ার সুযোগ নেই।  অথচ পরিবেশ অধিদপ্তরও তাদের লাইসেন্স নেওয়ার জন্য ফিলিং ষ্টেশনগুলোকে চাপ দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন,  ফিলিং ষ্টেশনের প্রবেশ দ্বার সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা ব্যবহারের জন্য তারা (সওজ) ফিলিং ষ্টেশনগুলোকে জমি ইজারা নিতে চাপ দিচ্ছে। অথচ ফিলিং ষ্টেশন থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহকারী সব গাড়িরই রুট পারমিট রয়েছে। ফিলিং ষ্টেশনের জ্বালানি স্টোরেজ ট্যাংক বা আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক যা ভূগর্ভে স্থাপিত। আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক কোনো পরিমাপ যন্ত্র নয়। অথচ বিএসটিআই আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক প্রতি বছর ক্যালিব্রেশন করার জন্য ফিলিং ষ্টেশনগুলোকে চাপ দিচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি সংস্থা লাইসেন্স নেওয়ারর জন্যও তাদের যে চাপ দিচ্ছে, তাতে অচিরেই এ ব্যবসাটি কঠিন সংকটে পড়বে। 

শেখ ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা মনে করি জ্বালানি ও ট্যাংকলরি ব্যবসার ঐতিহ্য ও অস্তিত্ব ঠিক রাখতে হলে উল্লেখিত বিষয়গুলির সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত। সমাধান না হলে আগামী ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিতরণ বন্ধ রাখা হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে  বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন খুলন বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম মাহবুব আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মিরাউল ইসলাম, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস, সহ-সভাপতি মোড়ল আব্দুস সোবাহান, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন, আব্দুল মান্নান খান, শেখ জামিরুল ইসলাম, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম নন্টু, মো. কামাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ