গ্রেফতারকৃত তিন ছাত্র
একজন ইংরেজি বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র। নাম লিখন। দ্বিতীয়জন অনিক। অর্থনীতি বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র আর তৃতীয়জন বাশার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পড়ছেন ফোকাস কোচিং সেন্টারে। আমরা পুরো পরিচয় প্রকাশ করছি না। মেধায় তারা সেরা। কিন্তু অর্থ সংকট তাদের বিপথে ঠেলে দিয়েছে।
তিন বন্ধু নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান লেখাপড়ার খরচ যোগানের জন্য তারা পাবনা শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াতো। কিন্তু এই উপার্জনে টানাটানি সংসারে কোন দায়িত্বই নিতে পারতো না তারা। নিজের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথাও ভাবতে পারছিল না। বিরাজমান সঙ্কটে অবসর সময় কাটতো হিন্দি সিরিয়াল ও ক্রাইম প্রেট্রোল দেখে। তাদের মগজে ঢুকে যায় অপকর্মের প্লান। ক্রাইম পেট্রোল দেখে অভিনব কায়দায় অপরাধ করার কৌশল রপ্ত করে। তাই নেমে পড়ে ডাকাতিতে।
গত ১১ জানুয়ারি দুপুর বারোটার দিকে পাবনা বড়বাজার এলাকার দিলালপুরে একটি বাসায় তিনজন কোচিং সেন্টারের টিচার পরিচয় দিয়ে ঢুকে গৃহবধূ ও গৃহপরিচারিকার হাত পা বেঁধে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আলমারির চাবি নিয়ে সেখানে থাকা ৭২ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ঘটনায় বাসার মালিক আরিফ চৌধুরী বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আসামি ধরতে অভিযানে নামে। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দস্যুতার সাথে জড়িত উল্লেখিত ৩ ছাত্রকে গতরাতে গ্রেফাতার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করে নেয়া ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার করে। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, দস্যুতার ঘটনায় আটককৃত তিন জনই মেধাবী ছাত্র। তারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং আইটি বিষয়ে অভিজ্ঞ। তারা ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ক্রাইম পেট্রোল দেখে অপরাধ করার কৌশল রপ্ত করে বিভিন্ন সময় অপরাধ সংগঠিত করে যাচ্ছিল।
আপন দেশ ডটকম/ এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।