Apan Desh | আপন দেশ

এইচএসসি পরীক্ষা ১৭ আগস্টেই শুরু: শিক্ষামন্ত্রী

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ১১ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ২৩:৩১, ১১ আগস্ট ২০২৩

এইচএসসি পরীক্ষা ১৭ আগস্টেই শুরু: শিক্ষামন্ত্রী

ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পরীক্ষার সময় যদি কোনো স্থান প্রাকৃতিক দুর্যোগ কবলিত হয় শুধুমাত্র সেই স্থানে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা বন্ধ রাখা হবে, এছাড়া  সারাদেশে সময় মতো পরীক্ষা চলবে।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ডেঙ্গু প্রত্যেক বছরই হয়, তবে এবছর হয়তো প্রকোপ কিছুটা বেশি। কিন্তু ডেঙ্গুর জন্য এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই। প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী, তারা এ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। ১৭ আগস্ট পরীক্ষার তারিখ বহু আগে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা পরীক্ষার দেয়ার জন্য একদম প্রস্তুত।

আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে মাউশির সামনে বিক্ষোভ

কিছু শিক্ষার্থীর আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষার আগে প্যানিক করে। তারা মনে করে তাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি নেয়া হয়নি। আরও একটু সময় পেলে তারা আরও ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবে। সেজন্য এতো লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া যায় না। কাজেই এটি পাবলিক পরীক্ষা, সময় মতো নেয়া জরুরি।

দীপু মনি বলেন, কোভিডের কারণে অনেক পিছিয়ে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। তাই পরীক্ষা গত বছর চেয়ে এ বছর এগিয়ে নিতে চেষ্টা করা হয়েছে। আগামী বছর স্বাভাবিক সময়ের যত কাছাকাছি সময়ে পরীক্ষা এগিয়ে নিয়ে আসা যায় তা চেষ্টা করা হবে। তার মধ্যে যে বিষয় নিয়ে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের একটু দুচিন্তা থাকে আইসিটি, সেই বিষয়েও কম নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে।

‘পুরোপরীক্ষা কিন্তু পুনবিন্যাসকৃত অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হচ্ছে। কাজেই আমি আশা করি এ অল্প সংখ্যাক শিক্ষার্থী আন্দোলনে আছে। তারা রাস্তা ঘাটে এ আন্দোলন না করে পড়ার টেবিলে ফিরে যাক এবং প্রস্তুতি নিলে তারাও ভালো করবে-বলেন দীপু মনি।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কমিটি গঠনের নির্দেশ

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছরই আমাদের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ ভাগ পাস করে না। যারা পাস করে না তারা পরের বছর আবার পরীক্ষা দেয়। যারা ভালো করে না তারা আবার মান উন্নয়নের জন্য পরবর্তী বছরে পরীক্ষা দেয়। সেই সুযোগগুলো সব আছে। আমি আশা করি পাবলিক পরীক্ষা পেছানোর যেহেতু সুযোগ নেই, তাই পরীক্ষার্থীরা যেন পড়াশুনায় মনোযোগ হয়। তাদের প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রইল। তারা যেন ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিতে পারে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ মোশেদা ইয়াছমিন, আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জিত রায় চৌধুরী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ