ফাইল ছবি
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ধীরে হলেও কিছুটা কমছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে নতুন রোগীর মোট সংখ্যা কমতির দিকে। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ২১৪ জনে পৌঁছালো। আর চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো এক হাজার ৫৬২ জনে। এর মধ্যে ঢাকাতে ৯০৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৫৩ জন মারা গেছেন।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৮৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ৩ হাজার ৫৩৬ জনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় মারা গেছেন ৫ জন, আর ঢাকার বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩ জন। একই সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ৮৪ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২১ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৯৮৬ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট এক হাজার ২৬৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ২৮১ জন ও ঢাকার বাইরে এক হাজার ১৭১ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে মোট দুই লাখ ৯৭ হাজার ৫১২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এক লাখ ৪ হাজার ৫ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতাল এক লাখ ৯৩ হাজার ৫০৭ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪ হাজার ৪৬২ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ১২৮ জন ও ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৩৩৪ জন।
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৩ হাজার ৫৩৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ছয় হাজার ৪২ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন এক লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৪ জন।
এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। চলতি বছর অনেক আগেই সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তার আগে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। এছাড়া ২০২০ সালে ৭ জন ও ২০২১ সালে মারা যান ১০৫ জন।
আপন দেশ/এমএমজেড
