Apan Desh | আপন দেশ

ইসরায়েলে এক উৎসবেই ২৫০ প্রাণহানি

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে নিহত ১১০০ ছাড়িয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ৯ অক্টোবর ২০২৩

আপডেট: ১৭:৫৯, ৯ অক্টোবর ২০২৩

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে নিহত ১১০০ ছাড়িয়েছে

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ভবন, ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের হামলার পর উত্তপ্ত ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে দুপক্ষই। এসব হামলায় নিহতের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা এক হাজার ১০০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

ইসরায়েলের সেনবাহিনী জানিয়েছে, হামাসের হামলায় অন্তত ৭০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেবল একটি সংগীত উৎসবে হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬০ জন। এর আগে বোববার বিকালে সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানায়, ফিলিস্তিনিদের হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪৪ জন সেনাসদস্য রয়েছেন।

ফিলিস্তিন জানিয়েছে, গাজা অঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৪১৩ জন নিহত হয়েছেন।

উদ্ধার সংস্থা জাকার বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, কিবুতজ রেইমের কাছে নেগেভ মরুভূমিতে সুপারনোভা সংগীত উৎসবটি হচ্ছিল। সেখান থেকে ২৫০টির বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবারের হামলাগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি।

ভোরবেলার কিছু পর হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উৎসবে অংশ নেয়া প্রত্যক্ষদর্শী অরটেল নামের এক ইসরায়েলি নারী।

গানের উৎসবে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, প্রথমে রকেট হামলার একটি শব্দ শুনতে পান তারা। এরপর হঠাৎ করে চোখের পলকে সেখানে উপস্থিত হন হামাসের সদস্যরা। তারা এসেই এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করেন। এরপর সেখানে জড়ো হওয়া তরুণ-তরুণীরা প্রাণ ভয়ে পালানো শুরু করেন।

আরও পড়ুন <> ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ৬শ ছাড়িয়েছে

সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রাণ বাঁচাতে কীভাবে দৌঁড়াচ্ছেন মানুষ। এ ছাড়া হামাসের যোদ্ধারা যে অনবরত গুলি ছুড়ে যাচ্ছিলেন সেটিও ভিডিওতে স্পষ্টভাবে শোনা গেছে।

মরুভূমি হওয়ায় সাধারণ মানুষ যে কোথাও পালিয়ে আশ্রয় নেবেন সেই উপায়ও ছিল না। ফলে উৎসবে অংশ নিতে যাওয়ারা সামনের দিকে শুধু দৌঁড়াতে থাকেন। আবার অনেকে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। আর যাদের কঁপাল খারাপ ছিল— তারা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

একজন জার্মান নারী দাবি করেছেন, তার ধারণা, সুপারনোভা উৎসবে যোগ দেয়া তার মেয়েকে হামাস যোদ্ধারা অপহরণ করে নিয়ে গেছেন। আরও কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের বেশ কয়েকজন নাগরিক হামলার শিকার হয়েছেন।

এদিকে ইসরায়েলের হামলার পর থেকে আহত মানুষের চিকিৎসা দিতে গিয়ে রীতিমতো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গাজার হাসপাতালগুলো। এমন দৃশ্যই উঠে এসেছে বিবিসির পর্যবেক্ষণে।

আপন দেশ/আরএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ