Apan Desh | আপন দেশ

তাসলিমা নাসরিনের নতুন পোষ্ট

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:২৯, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৪:৫৮, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

তাসলিমা নাসরিনের নতুন পোষ্ট

প্রবাসী বাংলাদেশি বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। 

ভারতের হাসপাতালে টাকার লোভে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশি বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মৃত্যু এলেও কখনো আদর্শ বিসর্জন দেবেন না বলেও জানান তিনি। তবে কোন হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ সে বিষয়ে কিছুই লিখছেন না। 

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তসলিমা।

তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, ‘টাকার লোভে কিছু অসৎ ডাক্তার আমি যে রোগের রোগী নই, সেই রোগের রোগী বানিয়ে আমার সর্বনাশ করেছে। আমার আয়ু অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে, জীবনকে দুর্বিষহ করেছে, জীবনযাপনের আনন্দ অনেকটাই নষ্ট করেছে। কিন্তু আমি তো আমিই থাকব, সে যত দিনই বাঁচি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘দীর্ঘজীবন না পাব, না পেলাম। কিন্তু অল্প ক’দিনই মাথা উঁচু করেই বাঁচব। নিজের আদর্শ নিয়েই বাঁচব। কোনো আদর্শ বিসর্জন দেবো না, মৃত্যু এলে আসুক।’

আরও পড়ুন<<>> তসলিমা নাসরিনের পঙ্গুত্ব বরণ নিয়ে সুখ-দুঃখে সয়লাব এফবি

এর আগে আরেক পোস্টে তসলিমা লিখেছেন, ‘লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে হাসপাতাল থেকে পঙ্গুত্ব কিনে বাড়ি ফিরলাম। শুক্রবার দুপুরে হোঁচট খেয়ে পড়ে হাঁটুতে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম রাতেই। এক্স-রে করে দেখতে চেয়েছিলাম হাঁটুর লিগামেন্টে কিছু হলো কিনা।’

‘হিপ জয়েন্টে কোনো ব্যথা ছিল না আমার। হিপ জয়েন্ট ডাক্তাররা পরীক্ষা করেও দেখেননি। কিন্তু এক্স-রে করে বলে দিলেন, আমার হিপ ভেঙেছে, হিপ রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে। তারপর তো ডাক্তারদের ওপর শতভাগ বিশ্বাস, আমার অজস্র নির্বুদ্ধিতা, আমাকে ওদের ভিকটিম করেছে।’
তিনি লিখছেন, প্রথম এক্স-রে রিপোর্ট হাতে পেয়েছি, ওরা রিপোর্টটি সরিয়ে ফেলে নতুন করে লেখার আগে। প্রথম রিপোর্টে লেখা ছিল, 'পুরোনো একখানা ফ্র্যাকচার।' হ্যাঁ পুরোনো একখানা ফ্র্যাকচার, যেটা কোনো এককালে ঘটে নিজে নিজেই হীল হয়ে গিয়েছিল। হীল হয়ে যাওয়া পুরোনো ফ্র্যাকচারকে আঁকড়ে ধরে তারা শনিবার দুপুরেই আমার টোটাল হিপ রিপ্লেসমেন্ট করে দিল।

ডা. তসলিমা লিখেছেন, সবচেয়ে হাস্যকর জিনিস, ইমারজেন্সিতে গিয়ে আমি যা বলেছি, আমার হাঁটুর ব্যথার কথা, সেটি সম্পূর্ণ ডিলিট করে দিয়ে ডিসচার্জের সময় নতুন করে হিস্ট্রি লিখে দিয়েছে, যেখানে হাঁটু শব্দটিই নেই, আছে হিপ হিপ হিপ। আমি নাকি হিপ জয়েন্টের যন্ত্রণায় কাতরেছি, আমার হিপ জয়েন্ট নাকি পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। বাহ, কী সুন্দর হিস্ট্রি পাল্টে দেয়া হলো। মূল হিস্ট্রি গায়েব।

ভারতে বসবাস করা এই লেখিকা লিখেছেন, ‘আমাকে এখন এই ভেবে সান্ত্বনা পেতে হবে, যেদিন হোঁচট খেয়েছিলাম, সেদিন হয়তো আমার মাথা মেঝেতে লেগে ফেটে যেতে পারত, আমি মরে যেতে পারতাম। আমার হিপ জয়েন্ট আর ফিমার গেছে চিরতরে, আমার জীবন আর আগের জীবন নেই, আমার চলাফেরা শ্লথ হবে যদি কোনোদিন হাঁটতে পারি, স্থবির জীবনে অজস্র রোগশোক এসে বাসা বাঁধবে, কিন্তু আপাতত বেঁচে তো আছি। এই বা কম কীসে!’

হাসপাতালের বেডের ছবি দিয়ে কদিন ধরেই একই অভিযোগ করে পোস্ট দিচ্ছেন এই লেখিকা। তবে কোন হাসপাতাল বা কোন চিকিৎসকের কাছে তিনি ভুল চিকিৎসা নিয়েছেন, তা বিস্তারিত জানা যায়নি।

সুইডেনের পাসপোর্টধারী হিসেবে দিল্লিতে বসবাস করছেন তসলিমা। ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে তখন আন্দোলনের মুখে পড়তে হয় তাকে।

আপন দেশ ডটকম/ সবুজ

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়