Apan Desh | আপন দেশ

জলাবদ্ধতা ১০ ভাগে নেমে এসেছে: মেয়র তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ১৪ জুন ২০২৩

জলাবদ্ধতা ১০ ভাগে নেমে এসেছে: মেয়র তাপস

ছবি : আপন দেশ

সময়োপযোগী পদক্ষেপের নেয়ার কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) আওতাধীন এলাকার জলাবদ্ধতা ৭০ থেকে ১০ ভাগে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার ( ১৪) সকালে রাজধানীর বংশাল এলাকার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডস্থ সামসাবাদ খেলার মাঠের উদ্বোধন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ তথ্য জানান।

মেয়র বলেন, ২০২০ সালেও একটু বৃষ্টি হলে শহর প্লাবিত হয়ে যেত। মনে হত বন্যা হয়ে গেছে। সেখান থেকে আমরা জলাবদ্ধতা ১০ ভাগে নিয়ে এসেছি।

প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় খাল ও নর্দমা সিটি করপোরেশনে হস্তান্তরের পর গৃহিত কার্যক্রমের ফলে জলমগ্ন পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমাদের বড় দুশ্চিন্তা জলমগ্নতা এবং জলাবদ্ধতা। তবে আমরা যখন ২০২০ সালে দায়িত্ব নেই তখন খাল, নর্দমাগুলো আমাদের দায়িত্বে ছিল না। তখন অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরের ৭০ ভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে যেত, প্লাবিত হয়ে যেত। মনে হতো যেন বন্যা হয়ে গেছে। আমরা যখন সোচ্চার হয়েছি, তখন প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর নেতৃত্বে খাল এবং নর্দমাগুলো আমাদের কাছে হস্থান্তর করা হয়। এরপর আমরা ১৩৬টি স্থান নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছি। যার ফলে জলাবদ্ধতা ১০ ভাগে নেমে এসেছে। কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন জায়গা ছাড়া এখন আর জলমগ্নতা নাই।

যেসব কাজ চলমান রয়েছে সেগুলো শেষ হলে আগামী মৌসুমে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না বলেও জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার তাপস।

একটি উন্নত রাজধানী গড়ে তোলায় পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য- একটি উন্নত রাজধানী, উন্নত ঢাকা গড়া। ওয়ার্ডভিত্তিক পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, উদ্যানের ব্যাবস্থা করা। উন্মুক্ত জায়গার ব্যাবস্থা করা। যেখানে ছেলে-মেয়েরা খেলতে পারবে, মানুষ হাঁটতে পারবে একটু নির্মল বাতাস উপভোগ করতে পারবে এবং একটু সবুজায়ন থাকবে। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের কার্যক্রম পুরোদমে চলছে।’

এ সময় মেয়র শেখ তাপস সামসাবাদ খেলার মাঠের হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে) সংলগ্ন জায়গায় একটি পলাশ গাছের চারা রোপণ করেন।

তার সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের, অঞ্চল-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আ. মান্নান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়