Apan Desh | আপন দেশ

চেয়ারম্যান প্রার্থী ডেপুটি স্পিকারের ভাই-ভাতিজা

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:২৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

চেয়ারম্যান প্রার্থী ডেপুটি স্পিকারের ভাই-ভাতিজা

ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর দুই স্বজন। তাদের মধ্যে সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল বাতেন তার ছোট ভাই, আব্দুল কাদের সবুজ সম্পর্কে ভাতিজা। দুজনই উপজেলা আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা। যদিও দল থেকে নৌকার এমপি-মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয়রা নির্বাচনে অংশ না নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কিন্তু সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে থাকলেও তা প্রত্যাহার করেননি তারা। প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার সিদ্ধান্তে নিজ নিজ যুক্তি তুলে ধরেছেন ডেপুটি স্পিকারের ভাই ও ভাতিজা।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল বাতেন বেড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনি বেড়া পৌরসভার একাধিকবারের নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। অতীতে সুসম্পর্ক থাকলেও কয়েক বছর ধরে বড় ভাই শামসুল হক টুকুর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়ন চলছে। উভয়ের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। গত পৌর নির্বাচনে চাচাকে সরিয়ে টুকুর বড় ছেলে আসিফ শামস রঞ্জন মেয়র পদে নৌকার মনোনয়ন পান। 

মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে আব্দুল বাতেন ভাতিজার বিরুদ্ধে নির্বাচন করে হেরে যান। ওই নির্বাচনে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ করেন তিনি। পরে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থী ও বড় ভাই টুকুর বিরোধিতার করেন। উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হলেও টুকুর সমর্থক নেতাকর্মীরা আব্দুর বাতেনের বিরুদ্ধে।

আব্দুল বাতেন বলেন, বেড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমি শামসুল হক টুকুর পরিচয়ে পরিচিত নই। তিনি এমপি হওয়ার অনেক আগেই আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলাম। তার আগেই জনপ্রতিনিধি হয়েছি। উপজেলার রাজনীতিতে টুকুই আমার পরিচয়ে পরিচিত। কাজেই এ নির্দেশনা আমার জন্য প্রযোজ্য নয় বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন>> ধষর্ণের রায় হাজার টাকা: চেয়ারম্যানে বহিষ্কার দাবি

এদিকে, আব্দুল কাদের সবুজ বেড়া আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শামসুল হক টুকুর অনুসারী। মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে তিনিও আছেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীতায়। দলীয় নির্দেশনা মন্ত্রী-এমপির পরিচয়ে জনপ্রতিনিধি হতে চাওয়াদের জন্য প্রযোজ্য বলে মনে করেন সবুজ।

তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের দুর্দিনে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি। বেড়ার রাজনীতিতে আমি বিএনপি-জামায়াতের জেল, জুলুম সহ্য করে এ পর্যায়ে এসেছি। দল ও দলের কর্মীরা আমাকে প্রার্থী করেছে। এ নির্বাচনে প্রতীকও নেই কাজেই আমি নির্বাচনে থাকছি। জনগণ যদি ভোট দেয় তবে আমি বেড়া উপজেলার নেতৃত্ব দিতে চাই। 

এ ব্যাপারে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আমি কাউকে সমর্থন দেইনি। কাউকে প্রার্থী হতে বা সরে দাঁড়াতেও বলিনি। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে সেই চেয়ারম্যান হবে। এ নিয়ে আমার কোনো ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নেই।

এদিকে প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেড়া, সাঁথিয়া ও সুজানগরের মধ্যে কেবল সাঁথিয়া থেকে চার জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা জামায়াতের আমির মোখলেছুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি রবিউল করিম হিরু। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিসুর রহমান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিরীন আক্তার তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

তবে এর আগে মনোনয়নপত্র বাছাইকালে বেড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আমিনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বাবুর মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

আপন দেশ/আরএন/এমআর/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ