Apan Desh | আপন দেশ

ধষর্ণের রায় হাজার টাকা: চেয়ারম্যানে বহিষ্কার দাবি

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:০১, ৯ মার্চ ২০২৪

ধষর্ণের রায় হাজার টাকা: চেয়ারম্যানে বহিষ্কার দাবি

ছবি: আপন দেশ

পাবনা বেড়ায় ধর্ষণের দায়ে জরিমানা করা হয় মাত্র এক হাজার টাকা। সালিশে এ দণ্ড দেন চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার। এ ঘটনায় বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে থানায় অভিযোগ করায় ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন চেয়ারম্যান। এতে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী দুই ইউপি সদস্যের বহিষ্কার দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে।

অভিযোগে বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি চাকলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ওই নারীকে ধর্ষণ করে আরেক বাসিন্দা শফিকুল। ভুক্তভোগীর স্বামী ইউপি সদস্য আবুল কালাম, আ. মতিন ও চেয়ারম্যান ইদ্রিস সরদারের কাছে পরামর্শ চান। তারা সালিশ ডাকেন। সেখানে ধর্ষককে মাত্র এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। 

কিন্তু এ ফয়সালা মানেননি ভুক্তভোগীর স্বামী। পুলিশের দারস্থ হওয়ার কথা বলেন। এতে চেয়ারম্যান তাকে রায় মানতে বাধ্য করেন এবং জোর করে রায়ের কাগজে সই করিয়ে নেয়। এছাড়াও ভুক্তভোগী নারীর নামে কুৎসা রটানোরও হুমকিও দেন চেয়ারম্যান। বিষয়টি জানাজানি হলে ৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী নারীকে থানায় ডেকে মামলা নেয় পুলিশ। পরে অভিযুক্ত শফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন>> ধর্ষকের জরিমানা এক হাজার টাকা!

কিন্তু চেয়ারম্যান ইদ্রিস তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়। অর্থের বিনিময়ে সালিশে রায় দেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার ও ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। ধর্ষককে সহযোগিতা ও ধর্ষণকাণ্ড ধামাচাপার চেষ্টায় তাদের বহিষ্কারেরও দাবি করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর স্বামী আব্দুর রাজ্জাক জানান, আইন আদালতের বিষয় নামমাত্র বিচার করে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। এটি অন্যায়। শাস্তি নাহলে তারা অনেকের সঙ্গেই এমন অন্যায় করার সুযোগ পাবে। শাস্তি হিসেবে তাদের বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী এস আই রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত প্রায় শেষের দিকে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল রিপোর্ট পেলেই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। সেসময় বিস্তারিত বলা যাবে।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোরশেদুল ইসলাম বলেন, মামলা হয়েছে এ পর্যন্তই জানি। ইউপি চেয়ারম্যান বা সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ বা ব্যবস্থার ব্যাপারে কিছু জানা নেই। তবে নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপন দেশ/এএন/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়