Apan Desh | আপন দেশ

অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় মেরে পুঁতে রাখে মা-সন্তান

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ২২ জুলাই ২০২৩

আপডেট: ১৯:৫৭, ২২ জুলাই ২০২৩

অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় মেরে পুঁতে রাখে মা-সন্তান

ফাইল ছবি

বগুড়ার: ধুনট থানায় চান্দারপাড়া গ্রামে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের ২৩ দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই নারীর মাকে আটক করা হয়েছে।

অনৈতিক কাজে রাজী না হওয়ায় মর্জিনা খাতুনকে (৩৪) হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন মা রওশনারা বেগম (৫৫)।

নিহত মর্জিনা খাতুন চান্দারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মর্জিনা মায়ের সঙ্গে থাকতেন। শনিবার (২২ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ধুনট থানা পুলিশ উপজেলার মায়ের ঘরের মেঝে খুঁড়ে মর্জিনার মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, ২৩ দিন ধরে ঘরে তালা ঝুলিয়ে নিরুদ্দেশ হন মা রওশনারা, ছেলে রাব্বি ও ছেলে স্ত্রী নুপুর। হঠাৎ করে পরিবারের সবাই নিরুদ্দেশ হওয়ায় গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ হলে রওশনারাকে ঢাকা থেকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে রওশনারার দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী মর্জিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পর নিহতের ছেলে রাব্বি ও ছেলে স্ত্রী নুপুর পলাতক।

আরও পড়ুন: মাদারগঞ্জে গৃহবধূ’র রহস্যজনক মৃত্যু

পুলিশ জানায়, রওশনারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, পরিবারের অভাবের কারণে মর্জিনাকে অনৈতিক কাজ করতে বলা হয়। রাজী না হওয়ায় তাকে হত্যা করে মরদেহ ঘরের মধ্যে পুঁতে রাখে তারা।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, গ্রামবাসীর দেয়া তথ্য মতে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ মিলেছে।

নিহত মর্জিানার মা রওশনারাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে মর্জিনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপনদেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ