Apan Desh | আপন দেশ

ইবির গণরুমে র‌্যাগিংয়ের সত্যতা মিলেছে

ইবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৬:৫৩, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৭:১৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ইবির গণরুমে র‌্যাগিংয়ের সত্যতা মিলেছে

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গণরুমে নবীন শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে নেমে সেই ঘটনার সত্যতা পেয়েছে কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসনের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সবগুলো অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। তবে শাস্তি বাস্তবায়নের এখতিয়ার শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তাই শাস্তির ধরণ ও নিয়মানুযায়ী জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে বিবস্ত্র করে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষে অধ্যয়নরত। অভিযুক্ত মুদাচ্ছির খান কাফি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যজন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ সাগর। দুজনই লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কোন লিখিত অভিযোগ দেই। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে তৎপর হয় ইবি প্রশাসন। শেখ রাসেল হলের তৎকালীন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে লালন শাহ হল কর্তৃপক্ষ পৃথক চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

লালন শাহ হল প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত কমিটির রিপোর্ট সোমবার জমা দিয়েছি। অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী, সাধারণ শিক্ষার্থী সবার সাক্ষাৎকার নিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। 

লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. আকতার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে আমরা তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। বিষয়টির গোপনীয়তা থাকায় এ মুহূর্তে বিস্তারিত বলতে পারছি না। পরবর্তীতে প্রশাসনের কাছ থেকে সার্বিক বিষয়ে জানতে পারবেন।

আরও পড়ুন>> ‘প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার, ১০ লাখ নেন’

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, আমরা আমাদের মতো তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছি। প্রশাসনের সিদ্ধান্তের আগে আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারি না। তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমরা যা পেয়েছি তাই উল্লেখ করেছি। বাকি সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন উপাচার্য বরাবর পাঠানো হয়েছে। এরপর পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনিচুর রহমান বলেন, ঘটনার প্রতিবেদন দাখিল করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি নিশ্চিত করবে। আমি অনুমাণ নির্ভর কিছু বলতে পারছি না। ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধারায় কোনো সিদ্ধান্ত নিবে সেটা ওনারা জানিয়ে দিবে।

আপন দেশ/এমএমসি/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ