Apan Desh | আপন দেশ

শিশু লালন সহজ নয়

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২০, ৬ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ১৩:২০, ৬ মার্চ ২০২৪

শিশু লালন সহজ নয়

প্রতীকী ছবি

শিশুকে লালনপালন করতে গেলে কোনো কোনো সময় নিজেকেও শিশুর হতে হয়। নতুন নতুন জিনিস শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে মা বাবাকেও শিখতে হয় একাধিক বিষয়ে। যেমন চূড়ান্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতেও কী করে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় তা জানতে হয় বাবা-মাকে। 

সন্তান জেদ করলে, দুষ্টামি করলে বেশিরভাগ বাবা-মাই মেজাজ হারিয়ে তাদের মারধর বা চিৎকার করেন। তাদের ধারণা, চিৎকার করে বললেই শিশু ভয় পাবে, দুষ্টামি করবে না। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর বিপরীত ঘটনা ঘটে। সন্তান সে সময়ের জন্য চুপ করলেও এমন আচরণ তাকে আরও জেদি করে তুলতে পারে। এ কারণে সন্তানকে শাসন করার ব্যাপারে অবশ্যই কৌশলী হতে হবে। 

মাথা ঠান্ডা রাখুন
মনে রাখবেন, চিৎকার করে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। উত্তেজনা চরমে থাকলে সবক্ষেত্রেই ভুল হওয়ার শঙ্কা থাকে। সন্তানের আচরণে মাথা গরম হলে তাকে বোঝানো বা শাসনের আগে নিজের মাথা ঠান্ডা রাখুন। 

মনে রাখবেন, আপনার সন্তান একজন শিশু। তাই তাকে বোঝানোর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। এর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। মেজাজ নিয়ন্ত্রণে এলে তারপর শিশুর সঙ্গে কথা শুরু করুন।

কথা বলুন ধীরে ধীরে
শিশুরা জানে কতটা দুষ্টামি করলে বাবা-মা চিৎকার করবে। কিন্তু আপনি যদি এর বিপরীতটা করেন, তাহলে সেও একেবারে চমকে যাবে। তখন তারও মনও নিমেষে ঠান্ডা হয়ে যাবে।

উচ্চ স্বরে কথা কার মাথা না বিগড়ায়? আর শিশুদের বেলা তো আরও বেশি। এ কারণে চরম উত্তেজনার মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে শিশুর সঙ্গে গলা নামিয়ে কথা বলুন। এতে ভালো কাজ হবে। কারণ বাবা-মায়ের এমন আচরণে শিশু দ্বিধাগ্রস্ত হবে। তার মেজাজও ঠান্ডা হবে।

আপনি বাবা-মা এবং শিক্ষকও
পারিবারিক শিক্ষাই মানুষকে সঠিক পথে চলায়। শিশু ভুল করলে সবার সামনে সমালোচনা করবেন না। যদি বলতে হয়, তবে একান্তে আড়ালে ডেকে বলুন। যখন মানসিকভাবে প্রশান্ত বা স্থির থাকে, তখন বলুন। মা-বাবা বা পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে সন্তানকে শাসন করবেন না। একজন শাসন করলে, অন্যরা চুপ থাকবেন।

সর্বোচ্চ ভালোবাসা দিন
আপনার সন্তান বড় হোক বা ছোট, সুন্দরভাবে কথা বললে সবাই মুগ্ধ হোন। এজন্য শিশুকে বোঝাতে মিষ্টি স্বর আর আদরের ভাষার বিকল্প নেই। উত্তেজক পরিস্থিতি শেষ করতে শিশুকে কাছে ডেকে আদর করুন। ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলুন। শিশুর কথাও শুনুন। তাহলে তার মন শান্ত হবে। শাসনের নামে শিশুকে শারীরিকভাবে আঘাত করবেন না। শারীরিক আঘাত বা মারধর শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে এবং সমস্যাগুলোকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

আপন দেশ/এবি

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

জনপ্রিয়